জাতীয় দলের সহকারী কোচ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বিসিবি। আগ্রহী প্রার্থীরা এরই মধ্যে আবেদন করেছেন। বিদেশি কোচদের লম্বা একটা তালিকাও পেয়ে গেছে বোর্ড। এই তালিকায় বড় কোনো নাম রয়েছে কিনা জানাতে পারেননি বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
বিসিবির অন্য একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, বিদেশি প্রার্থীদের ভিড়ে এক বা দু’জন দেশি কোচও আবেদন করেছেন। তাঁদের একজন হলেন মিজানুর রহমান বাবুল। ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘যেহেতু দেশি কোচদের আবেদন করার একটা সুযোগ রেখেছে, তাই করলাম। নেওয়া না নেওয়া তো বিসিবির সিদ্ধান্ত। এতে করে একটা জিনিস হয়েছে, কেউ বলতে পারবেন না আবেদন করিনি।’
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সহকারী হিসেবে যে বিদেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। দেশিদের নিয়োগ দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে গণআবেদনে নাম লেখাতে হতো না। বিসিবি থেকে ডেকেই আবেদন করতে বলা হতো বলে মনে করেন স্থানীয় কোচদের বেশিরভাগ।
রাজিন সালেহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি আবেদন করিনি। আমাকে বা আমাদের কাউকে নিতে চাইলে বোর্ডের তো সরাসরি কথা বলার সুযোগ রয়েছে। কারণ, দেশি কোচরা কে কী পারে এবং কার কেমন সামর্থ্য তা ভালো করেই জানে। দেশিদের জন্য আবেদনের প্রয়োজন হবে কেন? আবেদন তো করবেন বিদেশিরা। বিসিবির বিজ্ঞাপনটি বিদেশিদের জন্য প্রযোজ্য। খামোখা আবেদন করার যুক্তি খুঁজে পাইনি আমি।’
বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কোচ সোহেল ইসলাম, তালহা যোবায়ের, জাতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনও আবেদন করেননি।এ তিন কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তালহা বলেন, ‘আমি এখনও জুনিয়র। সালাহউদ্দিন ভাই, সোহেল ভাই, বাবুল ভাইয়েরা হয়তো আবেদন করেছেন।’
সোহেল ইসলাম জানান, তিনি বর্তমান পজিশনে ভালো আছেন। দেশের অন্যতম সফল কোচ সালাহউদ্দিনের কাছে আবেদন না করার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সবকিছু ছেড়ে এ মুহূর্তে বোর্ডের কাজে যোগ দেওয়া কঠিন। একটি একাডেমিতে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটিকে একটু গুছিয়ে দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারব। তবে দুই বছর পর কোনো সুযোগ এলে আশা করি নিতে পারব।’