দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) ৫ কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রিমান্ড আদেশে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৯ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা রয়েছেন। তাদেরকে ৩ ও ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
হারিয়ান মেট্রো ও মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ আগস্ট দুর্নীতির সাথে জড়িতদের ক্লাং উপত্যকা, পেনাং এবং কেলান্টানের চারপাশে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) অপ পাম্প অপারেশনের নামে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের ২১ আগস্ট সকালে পুত্রজায়া ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনা হলে দুর্নীতিদমন কমি্নের (এমএসিসি) আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট নাদিয়া আবদ রাজাক। এমএসিসি আইন ২০০৯ এর ধারা ১৬(এ)(বি) এবং ১৬(বি)(বি) অনুসারে পরিচালিত হয় এবং তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারদের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এদিকে দেশটির অভিবাসন বিভাগ কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ) দুর্নীতির সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশীদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে।
ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ বিষয়ে অভিবাসন বিভাগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, অভিবাসন বিভাগ দেশের প্রবেশদ্বারে বা সারাদেশের যে কোনও ইমিগ্রেশন অফিসে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সাথে জড়িত কোনও কর্মকর্তাকে আপস করবে না এবং রক্ষাও করবে না।
উল্লেখ্য, লেভেল ৪, ইন্টিগ্রিটি ডিভিশন, মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট হেডকোয়ার্টার, পুত্রজায়াতেও যোগাযোগ করতে বলেছেন পরিচালক।
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া