দেশের দুই জেলায় রোববার বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার দাকোপ উপজেলার পৃথক স্থানে তিনজন এবং রাজশাহীতে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন।
দাকোপ উপজেলায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন– তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের আজিজুল শেখ (৬১), সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগী গ্রামের সুজিত রায় (৩৩) ও পাইকগাছা উপজেলার সনাতনকাঠি গ্রামে খোরশেদ শেখ (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ৯টায় আজিজুল শেখসহ তিনজন ঘেরে মাটি কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আজিজুলের মৃত্যু হয়। তবে বাকি দু’জন অক্ষত আছেন।
কালাবগী গ্রামে সকালে সুজিত রায়সহ কয়েকজন নদীতে মাছ ধরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে সুজিতের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া একই গ্রামের জেলে আনিস গাজী, ইসমাইল, রিপন বৈদ্য ও শাহরিয়া বেগম কিছুটা আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় বটবুনিয়া এলাকায় নদীতে নৌকায় করে বাঁশ বিক্রির সময় বজ্রপাতে খোরশেদ শেখের মৃত্যু হয়।
দাকোপের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহীতে বজ্রপাতে মৃত যুবকের নাম সাহাবুল ইসলাম। তিনি সম্প্রতি রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তাঁর বাড়ি জেলার মোহনপুর উপজেলায়। চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নগরীর হেতেম খাঁ এলাকার একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।
জানা গেছে, সাহাবুল বিকেলে ছাত্রাবাসের ছাদে বৃষ্টিতে ভেজার সময় বজ্রপাতে আহত হন। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।