দাফনের ১৫ দিন পর জীবিত ফিরে এল ‘মৃত’ কিশোর

0
12
রবিউল ইসলাম, ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানীনগরে রবিউল ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরকে ‘মৃত’ হিসেবে শনাক্ত করে দাফন করেছিল তার পরিবার। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। তবে ১৫ দিন পর ওই কিশোর পরিবারের কাছে জীবিত ফিরে এসেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় হাজির হয়ে তার জানানও দেয় রবিউল।

রবিউল ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারের গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করত। গত ২৬ জুলাই সেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছিল সে।

৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে যান। লাশটি রবিউলের বলে শনাক্ত করে স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে যান। ৬ আগস্ট দাফন সম্পন্ন হয়। এর দুই দিন পর ৮ আগস্ট রবিউলের মা পারুল বেগম বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারের বগুড়া রেস্তোরাঁর মালিক বুলবুল মিয়াসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্ত চলাকালে পরিবার রবিউলের সন্ধান পায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে। গতকাল শুক্রবার তাকে নিয়ে কুলাউড়া থানায় হাজির হয় তারা। আজ শনিবার রবিউলকে আদালতে হাজির করা হলে সে জবানবন্দি দেয়। সেখানে সে বলে, সে নিখোঁজ হয়নি; বরং ইচ্ছা করে আগের রেস্তোরাঁর কাজ ছেড়ে অন্যত্র কাজ নিয়েছিল। পরে নবীগঞ্জে গেলে পরিবার তার খোঁজ পায়। আদালতের নির্দেশে রবিউলকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, যাকে রবিউল ভেবে দাফন করা হয়েছিল, সেই লাশের সুরতহাল ও অপমৃত্যুর মামলা এখনো থানায় আছে। ওই লাশের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.