আজ ও কাল ভারী বৃষ্টি, পাহাড় ধসের আশঙ্কা

0
75
বৃষ্টি

মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের আট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারী ও অতি ভারী বর্ষণ হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে কোথাও কোথাও ভারী (8৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তারও বেশি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, দেশের কিছু কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি চলছে। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১৭৩ মিলিমিটার, চুয়াডাঙ্গায় ১৬৮ মিলিমিটার, ভোলায় ১৩৬ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ১৬৬ মিলিমিটার, চাঁদপুরে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ১০০ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে অনেক জায়গায়।

আর কদিন এই বৃষ্টি চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, রংপুর এবং ময়মনসিংহসহ অনেক জায়গায় বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টি থাকবে। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমতে থাকবে। রোববারের পর আবহাওয়া শুকনো থাকবে।

পাহাড় ধসের আশঙ্কার বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এখন বৃষ্টি চলছে। আরও বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামীকাল শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ দিন ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।  সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত: সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

নদীবন্দরে ২ নম্বর সংকেত: বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.