দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ নির্বাচনে ৫০ ভাগ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া ফল অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) ৪২ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে। আজ শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচন কমিশন এসব তথ্য জানিয়েছে।
৫০ শতাংশ কেন্দ্রের ভোট গণনায় ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স দল ২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা সমর্থিত উমখুনটো উই সিজ (এমকে) দল। ৫০ শতাংশ কেন্দ্রের ভোট গণনায় কট্টর বামপন্থী দল ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার (ইএফএফ) পেয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনামল অবসানের পর ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নেতৃত্বাধীন এএনসি জয়লাভ করে। এরপর পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে এএনসি। তবে ক্ষমতা ধরে রাখলেও ধারাবাহিকভাবেই এএনসির ভোট কমছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৫৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পায় এএনসি।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট বা ২০১ আসন না পেলে এএনসিকে জোট সরকার গঠনের পথে হাঁটতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার্সের জুলিয়াস মালেমা ‘কিং মেকারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন। তিনি এএনসি থেকে বের হয়ে নতুন দল গঠন করেছিলেন। এ ছাড়া জ্যাকব জুমার এমকে দলের সঙ্গেও জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
অবশ্য দল দুটির সঙ্গে জোট সরকার গঠন কঠিন হবে এএনসির জন্য। জোট সরকার গঠনের শর্ত হিসেবে ডেপুটি প্রেসিডেন্ট এবং অর্থমন্ত্রীর পদ দাবি করেছে ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার্স। অন্যদিকে এমকে দল শর্ত দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাকে সরে যেতে হবে এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে জ্যাকব জুমার সব দুর্নীতি মামলা বাতিল করতে হবে।