ফেসবুক ও ইউটিউবে কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক মন্তব্য করে ভিডিও বানিয়ে ছড়ানোর অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং ডিবি অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয় ও সন্ধ্যায় ভাটারা থানায় জিডি করেন তিনি। জানালেন, দুই জায়গা থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম আসাদুজ্জামান রাতে বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় অপু বিশ্বাস থানায় এসেছিলেন। জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ এবং অপমানজনক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এমন চারটি লিংক সংযুক্ত করে তিনি জিডি করেছেন।’
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “দ্রুতই এসব অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।”’
অপু বিশ্বাস জানান, দেড়-দুই বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে এবং ফেসবুকে নানা ধরনের মানহানিকর, অপমানজনক মন্তব্য করে যাচ্ছে কেউ কেউ। এতে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে তাঁর সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। বললেন, ‘কিছু মানুষ বেশ আগে থেকেই আমার বিরুদ্ধে এসব করছেন। এটি একধরনের ক্রাইম। প্রথম দিকে আমাকে অনেকেই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলতেন। তখন গুরুত্ব দিইনি। ভেবেছিলাম, হয়তো থেমে যাবে। এখন দেখছি ভিডিও করে, লিখে আমাকে নিয়ে আরও বেশি করে বাজে মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। বাধ্য হয়েই কাজটি করতে হলো।’
অপু বিশ্বাস মনে করছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডে তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। তিনি বললেন, ‘আমি একজন চিত্রনায়িকা, আমারও পরিবার আছে, আত্মীয়স্বজন আছে। তাঁদের অনেকেই ফেসবুকে সক্রিয়। এসব বাজে মন্তব্য তো তাঁরাও দেখছেন। এতে করে শুধু আমার পরিবার নয়, আত্মীয়স্বজনেরও ভাবমূর্তি, সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। এটা তো মেনে নেওয়া যায় না।’
ঢাকাই ছবির এই নায়িকা মনে করেন, এই সব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা গেলে, ভবিষ্যতে অনলাইনের মাধ্যমগুলোতে ইচ্ছেমতো যাকে–তাকে নিয়ে মনগড়া বিভ্রান্তিকর মন্তব্য, বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ করা যাবে। অপরাধীরা ভয়ে এসব কাজ থেকে বিরত থাকবে।