আগামীকাল রোববার মুক্তি পাচ্ছেন থাইল্যান্ডের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট থাকসিন সিনাওয়াত্রা (৭৪)। আজ শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী সেরেথা থাভাইসিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় আজ সকালে থাই প্রধানমন্ত্রী মুক্তির দিনক্ষণ নিশ্চিত করে বলেন, ‘দেশের আইন অনুসারে থাকসিনকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (অর্থাৎ রোববার) মুক্তি দেওয়া হবে।’
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থাইদল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী তাওই সসং জানিয়েছিলেন, কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা শিগগির মুক্তি পাবেন। ওই সময় তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সপ্তাহ খানিকের মধ্যেই থাকসিনকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
তাওই সসং সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘প্রায় ৯৩০ জন কারাবন্দীর সাজা মওকুফ করা হবে। থাকসিন সিনাওয়াত্রাও সেই তালিকায় আছেন। মূলত যারা খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন বা যাদের বয়স ৭০ বছরের ওপরে, তাদেরই মুক্তি দেওয়া হবে। ছয় মাস পর স্বাভাবিকভাবেই তিনি মুক্তি পেতেন।’
এদিকে এ খবর পাওয়ার সপ্তাহ দুয়েক আগেই থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ। ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানের সময় এক সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তবে মামলাটি এগিয়ে যাবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
কারাগারে বন্দী এই বিলিয়নিয়ার দেশটির কঠোর আইনের অধীনে বিচারের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
গত বছরের ২২ আগস্ট সিঙ্গাপুরে ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে ব্যক্তিগত বিমানে করে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করেন থাকসিন। পরে বিমানবন্দর থেকে আগের দণ্ডাদেশ থাকায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই থাকসিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টেলিকম ব্যবসার মাধ্যমে দেশটির শীর্ষ ধনকুবের বনে যান থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ২০০১ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। পরে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তিনি দেশের বাইরে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন।
এরই মধ্যে থাকসিনের অনুপস্থিতিতেই সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে চারটি মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে আদালতের রায়ের ওপর থাইল্যান্ডের রাজা থাকসিনকে দণ্ড অর্ধেক করে দেন।