অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ ৫ শীর্ষ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

0
91
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুরশেদুল কবীর

আদালতের আদেশ অমান্য করায় অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুরশেদুল কবীর এবং ব্যাংকটির পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায় পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

এমডি ছাড়া কারাদণ্ড পাওয়া অন্য চার কর্মকর্তা হলেন অগ্রণী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর-২ শ্যামল কৃষ্ণ সাহা, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর-১ ওয়াহিদা বেগম, প্রিন্সিপাল শাখার জেনারেল ম্যানেজার মো. ফজলুল করিম এবং এলপিআরে যাওয়া জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম ফজলুল হক।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এ রায় দিয়েছেন।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল আমীন।

তিনি বলেন, আদালত অবমাননার দায়ে অগ্রণী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হাইকোর্ট ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। বিস্তারিত তথ্য পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর জানা যাবে।

এদিকে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে বুধবার আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইনজীবী শামীম খালেদ। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

আইনজীবীরা জানান, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুন গ্রুপের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের ডিগ্রি মূলে পাওনা ৫৩৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে পাওনার ২৫ শতাংশ কিস্তিতে পরিশোধের জন্য মুন গ্রুপের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণের ২৫ শতাংশ পরিশোধ না করলে মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠানো হবে।

ব্যাংকের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিম্ন আদালতে ঘোষণামূলে ডিগ্রি প্রার্থনা করা হয়। একইসঙ্গে ব্যাংকের চিঠির বিরুদ্ধে আদেশ প্রার্থনা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। এই আদেশ নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে বিবিধ আপিল দায়ের করেন মুন গ্রুপ। হাইকোর্ট ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ব্যাংকের চিঠির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি রুল দেন।

এদিকে নির্ধারিত সময়ে ঋণের ২৫ শতাংশ কিস্তি পরিশোধ না করায় মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে অগ্রণী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকে সিআইবি পাঠায়। পরে মুন গ্রুপ অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ চার নির্বাহীর বিরুদ্ধে ভায়োলেশন মোকাদ্দমা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি, ডিএমডিসহ ৫ কর্মকর্তাকে ৩ মাসের দেওয়ানি কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.