ত্রাণের সুযোগে অস্থির মোটা চালের বাজার

0
27
চালের বাজার

চড়া দামে অপরিবর্তিত আছে চিকন চালের বাজার। কিন্তু বেশ অস্থির মোটা চালের বাজার। ত্রাণ বিতরণে পণ্যটির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৬ টাকা। বন্য দুর্গত মানুষের জন্য জরুরি এই খাদ্যপণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ সবাই।

মোটা চালের ক্রেতার বড় অংশই এখন স্বেচ্ছাসেবীরা। বিতরণের জন্য বস্তায় বস্তায় চাল কিনছেন তারা। আর সে কারণেই বেড়ে গেছে পণ্যটির চাহিদা। আর এই বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে মোটা চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজিতে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে চালের দাম বৃ্দ্ধিতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ক্রেতারা।

মাত্র এক সপ্তাহ আগেও, ৫০ কেজি বিআর-২৮ চাল মিলেছে ২৬০০ টাকায়। আর এখন তা কেনার জন্য গুনতে হচ্ছে ২৯০০ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, ত্রাণের জন্য মোটা চালের বাড়তি চাহিদা তৈরি হলেও, মিল থেকে পর্যাপ্ত চাল মিলছে না। তাই পাইকারিতে দাম বেড়েছে।

গুটি, স্বর্ণা এবং বিআর-২৮ সহ সব ধরনের মোটা চালের দাম বৃদ্ধির জন্য, বরাবরের মত, ধানের সংকটকে অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছেন মিল মালিকরা।

সরকারের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছরে মোটা চালের দাম ৫৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে এখনও চড়া দামে অপরিবর্তিত আছে মাঝারি ও চিকন চালের বাজার। নাজিরশাই ও মিনিকেটের মতো মাঝারি মানের চিকন চাল বাজারভেদে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় আর ৭৫-৮০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না ভালো মানের চাল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.