পেঁয়াজ দিয়ে কেনা যাচ্ছে সাবান, শ্যাম্পু, বিস্কুট

0
117
কুয়েজোন শহরের ওই সুপারশপে পেঁয়াজের বিনিময়ে কেনাকাটা, ছবি: ফেসবুক

পেঁয়াজ দিয়ে মূল্য পরিশোধের জন্য আলাদা সারি ও কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়। পেঁয়াজ রাখার জন্য ছিল একটি ঝুড়ি। সারিতে অপেক্ষমাণ এক নারীর হাতে দেখা যায়, একটি পাতিল ও সাবান-শ্যাম্পু রাখার একটি তাক।

এক কিশোরকে একটি ঝাঁজরি (চাল ও সবজি ধোয়ার পাত্র) ও একটি এয়ার ফ্রেশনারের জন্য পেঁয়াজ পরিশোধ করতে দেখা যায়। তিনটি পেঁয়াজ দিয়ে পছন্দের চিপস, চকলেট, কুকিজ ও ওয়েফার রোল কেনে এক শিশু।

‘এক দিনের এই মুদ্রা’ দিয়ে একজন সর্বোচ্চ তিনটি পণ্য কিনতে পারেন। এ জন্য ক্রেতাদের অনেককেই তিনটি পেঁয়াজ নিয়ে আসতে দেখা যায়। এক ব্যক্তি যাতে একাধিকবার কিনতে না পারেন, সে জন্য হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেওয়া হয়।

সুপারশপ কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব পেঁয়াজ স্থানীয় একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের গুদামে দেওয়া হবে। সামর্থ্যহীন লোকজন ওই গুদাম থেকে বিনা মূল্যে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করে থাকেন।

দামের উল্লম্ফনের কারণে ফিলিপাইনে ‘তারকা সবজিতে’ পরিণত হয়েছে পেঁয়াজ। চলতি বছরের শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম গিয়ে ঠেকে প্রায় ৬০০ পেসোতে। মাংস ও মুরগির দামকেও ছাড়িয়ে গেছে এটি।

এ পরিস্থিতিতে অনেকেই খাদ্যতালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ দিতে হচ্ছে। তবে কিছু মানুষ এ নিয়ে হাস্যরসও করছেন। এক নববধূ বিয়েতে পেঁয়াজ দিয়ে ফুলের তোড়া বানিয়েছেন। আরেক দম্পতি বিয়ের স্মারক হিসেবে বেছে নেন পেঁয়াজ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.