তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৭৪ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। সফরকারীদের দেয়া ১৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১০৪ রানেই গুটিয়ে যায় লিটন দাসের দল। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও শেষটা ভালো হলো না লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল।
নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় বাংলাদেশ। দলীয় স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই বিদায় নেয় ওপেনার তানজিদ তামিম। ক্রিজে আসেন অধিনায়ক লিটন দাস।
লিটনের ব্যাটও হাসেনি এদিন। ব্যক্তিগত ৮ রানে ফাহিম আশরাফের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর একে একে বিদায় নেয় মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী ও মেহেদী হাসান। তাদের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৯, ৮ ও শূন্য রান। পাওয়ার প্লে’র পরের ওভারেই সালমান আগা বিদায় করেন শামীম হোসেনকে।
একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। অপরপ্রান্তে ব্যাট হাতে ব্যর্থ নাসুম, তাসকিন, শরিফুল তিনজনই বিদায় নেন এক অঙ্কের রানে।
শেষ পর্যন্ত ২০ বল আগেই ১০৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে ১৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন সালমান মির্জা। ২টি করে উইকেট পান ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে দুই ওপেনার ফারহান ও সাইম আইয়ুব। দু’জন মিলে গড়েন ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটি।
ব্যক্তিগত ২১ রানে নাসুম আহমেদের বলে শামীম হোসেনের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সাইম। ক্রিজে আসেন নতুন ব্যাটার মোহাম্মদ হ্যারিস। ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান।
দলীয় ৯৩ রানে নাসুমের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফারহান। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৪১ বলে ৬৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। দেড়শো স্ট্রাইকরেটে তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট। ইনিংসের ১৩তম ওভারে দলীয় শতরানে পৌঁছায় পাকিস্তান।
হাসান নওয়াজ খেলেন ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে নওয়াজ ২৭ ও সালমান আগা করেন ১২ রান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। ২টি উইকেট পান নাসুম আহমেদ। এছাড়া, ১টি করে উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।