ফুটবল বিশ্বকাপে চাঙা কাতার এয়ারলাইনস, মুনাফা ১২০ কোটি ডলার

0
123

আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো চলতি বছর ভালো মুনাফা করছে। কোভিড মহামারির পর মানুষের চলাচল বেড়েছে, মূলত সে কারণেই বিমান সংস্থাগুলো ভালো মুনাফা করছে। এ ছাড়া বিশ্বকাপ ফুটবলের বদৌলতে কাতার এয়ারলাইনস গত অর্থবছরে ১২০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপ (আইএজি) জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে তারা ১৪০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে, এই গ্রুপ বা গোষ্ঠীতে আছে আয়ের লিঙ্গাস ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। আইএজির প্রধান নির্বাহী লুইস গালেগো এক বিবৃতিতে বলেছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ মহামারির আগের পর্যায়ে ফিরতে চায় বিমান সংস্থাগুলো।

লুইস গালেগো আরও বলেন, গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলোর শক্তিশালীযাত্রী চাহিদা রয়েছে। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রায় ৮০ শতাংশ আসন ইতিমধ্যে সংরক্ষিত হয়ে গেছে। গ্রীষ্মের এই ব্যস্ত সময়ে বিমান পরিচালনা নিশ্চিত করতে বিমান সংস্থাগুলো যথাযথ পরিকল্পনা করেছে।

অন্যদিকে এয়ারফ্রান্স-কেএলএম গ্রুপ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮০০ কোটি ডলার রাজস্ব আয়ের খবর দিয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১০০ কোটি ডলার বেশি।

এয়ারফ্রান্সের প্রধান নির্বাহী বেঞ্জামিন স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিমানবন্দরগুলোর পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে ফ্রান্সে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমস হবে, তার প্রস্তুতি হিসেবেই এসব হচ্ছে। এয়ার ফ্রান্স এই প্রতিযোগিতার অফিশিয়াল পার্টনার।

গত বছর বিশ্বকাপ ফুটবলের বদৌলতে কাতার এয়ারলাইনসের বিপুল ব্যবসা হয়েছে, ফলে ২০২৪ সালের অলিম্পিকের সুবাদে এয়ার ফ্রান্সও উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কাতার এয়ারলাইনস গত বছর ১২০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে। মূলত, ফুটবল বিশ্বকাপের কারণে এতটা মুনাফা হয়েছে বলে মনে করছে কাতার এয়ারলাইনস। কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে অনেক জল্পনাকল্পনা ও সমালোচনা ছিল। বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় তারা ১৪ লাখ মানুষকে কাতারে নিয়ে আসে।

কাতার এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গত বছর আমাদের যাত্রী পরিবহন বাবদ রাজস্ব ১০০ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়ায় মুনাফা বেড়েছে। লাখ লাখ মানুষের পছন্দের বিমান সংস্থা হিসেবে আমরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি। ওই বছর আমরা ৩ কোটি ১৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছি; আগের বছরের চেয়ে যা ৭১ শতাংশ বেশি।’

তবে ভ্রমণ খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, বড় ধরনের এই প্রবৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদি হবে না। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপের বৃহত্তম বিমান সংস্থা রায়ানএয়ার এই বলে সতর্ক করে যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান নীতি সুদহারের কারণে এ বছরের শরৎ ও শীতকালে ভ্রমণ কমে যেতে পারে।

রায়ানএয়ার চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার মুনাফা করেছে। তখন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী মাইকেল ও’লিয়ারি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির এই প্রবণতা কী প্রভাব ফেরতে পারে, সে বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন।’ তিনি আরও মনে করেন, যাত্রীর প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে বিমান সংস্থাগুলোকে টিকিটের দাম কমাতে হতে পারে।

তবে বড় বিমান সংস্থাগুলোর আসন এখন খালি যাচ্ছে না। আইএজি বলছে, তাদের ৮৪ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এবং এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম বলছে, তাদের টিকিট বিক্রির হার ৮৭ শতাংশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.