কাস্টমস কর্মকর্তা সানজিদা বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দর্শনাগামী দুটি বাস কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। পরে যাত্রীদের দেহ তল্লাশি করে ৭ কেজি ৪৩২ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জন ভারতীয় নাগরিকসহ ১২ জনকে।
কাস্টমস কর্মকর্তা সানজিদা খানম আরও বলেন, দুই বাসে তল্লাশির সময় সন্দেহভাজন যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে সোনার বার থাকার তথ্য অস্বীকার করেন। পরে শরীরের বিশেষ স্থানে লুকিয়ে রাখা সোনার অবস্থান ধরা পড়ে স্থানীয় ঝিলমিল হাসপাতালের এক্স–রে পরীক্ষায়। পাঁচজন যাত্রীর শরীরের বিশেষ স্থানে লুকিয়ে রেখেছিলেন সোনার বার। এ ছাড়া অপর সাতজনের ব্যাগের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ কায়দায় সোনার বার লুকিয়ে রাখেন।
সোনার বারসহ আটক ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সানজিদা খানম। তিনি বলেন, যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের সবাই বাহক। কারা এই সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গ্রেপ্তার ১২ জন হলেন ভারতীয় তিন নাগরিক নবী হুসাইন (৪৬), শাহাজাদা (৪৭) ও মোহাম্মদ ইমরান (৩৭) এবং রাহাত খান (৩৩), মোহসিন আল মাহমুদ (২৯), কাজী মামুন(৩৪), সৈয়দ আমীর হোসেন (৩৪), শামীম (২৩), মামুন (৩৭), বশির আহমেদ কামাল (৩৭), মামুন সরকার (৩৭), আতিকুর রহমান মীনা (৪২)।