তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরের কাজের প্রভাব রয়েছে এখনও: ক্যাথরিন মাসুদ

0
57
তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের কাজের প্রভাব নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেখা যায়। মানুষ এখন সড়ক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতন। এমনটি জানিয়েছেন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা জানান।

ক্যাথরিন মাসুদ বলেন, ১৩ বছরে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুর পর ২০১৭ সালের রায়ে সব আশার প্রতিফলন ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

ক্যাথরিন আরও বলেন, মামলাটি দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে। এসময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও ক্ষতিপূরণ তহবিল কার্যকর করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে স্বাধীন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে সমাদৃত তারেক মাসুদ। তার হাত ধরে এ দেশের সিনেমা দেশে-বিদেশে পেয়েছে সম্মান ও মর্যাদা। তিনি ছিলেন সিনেমার ফেরিওয়ালা। ‘মাটির ময়না’, ‘রানওয়ে’, ‘আদম সুরত’ ইত্যাদি তার প্রশংসিত কাজ।

আর ক্যামেরা ‘ডিরেক্টর’ হিসেবে কাজ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছেন মিশুক মুনীর। শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে মিশুক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিও গ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন। তারেক মাসুদের সিনেমা ‘রানওয়ে’র প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন তিনি।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘কাগজের ফুল’ সিনেমার লোকেশন দেখতে গিয়ে ফিরে আসার সময় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মারা যান তারা। তাদের সঙ্গে আরও নিহত হন তারেক মাসুদের ড্রাইভার, প্রোডাকশন ম্যানেজার ও এক কর্মী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.