বিশ্বকাপ দল ঘোষণা হয়েছে, সেই দল গতকাল ভারতও পৌঁছেছে। আজ অনুশীলনও করেছে বাংলাদেশ দল। আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। কিন্তু বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগেই হঠাৎ করে সরগরম হয়ে ওঠা দেশের ক্রীড়াঙ্গন এখনও ঠিক শান্ত হতে পারেনি। তামিমের ১২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তা কিংবা সাকিবের ২৭ মিনিটের সাক্ষাৎকার সবকিছু যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আলোচনায় রাখার একেকটি রসদ। এতসব আলোচনার সঙ্গে এবার যুক্ত হলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ভিডিও বার্তা দিয়ে মাশরাফি বলেন, আমার কাছে কোনো দিক থেকে মনে হয়নি তামিমের অধিনায়ত্ব ছাড়া উচিত হয়েছে। তামিমের একটা ইস্যু ছিল, সেটা হচ্ছে ইনজুরি। ইনজুরি থাকলে কিছু করার নাই। বোর্ডও তামিমকে নিয়ে কম্ফোর্ট ছিল। বোর্ড ক্লিয়ার করেছে যে, তামিম অধিনায়ক থাকলে বোর্ডের কোনো সমস্যা নাই। এখানে পয়েন্ট ছিল তামিমের ইনজুরি। সে জন্য তামিমকে আরেকটু অপেক্ষা করা উচিত ছিল।
গতকাল ভিডিও বার্তায় তামিম বলেছিলেন, তাকে নিচে ব্যাটিং করতে বলা হয়েছিল কিন্তু রাজি হয়নি। পরে এ নিয়ে মুখ খোলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তামিমের আচরণকে ‘বাচ্চামো’ মনে করেন তিনি।
এই ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ‘সাকিব আরও একটি কথা বলেছে, দলের স্বার্থে যে কাউকে যেকোনো জায়গায় ব্যাটিং করতে হতে পারে। আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে, সাকিব যেহেতু নেতৃত্ব নিয়েছেই। সাকিবই পারতো তামিমকে একটা মেসেজ দিতে বা এক মিনিট ফোনে কথা বলতে যে আমার এই পরিকল্পনা আছে, এটা আমি তোর সঙ্গে পরে আলোচনা করবো। পুরো জিনিসটা এখানে চাপা পড়ে যেতো।’
তামিমকে নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘তামিম ইকবাল বাংলাদেশের সবচেয়ে এক্সপেরিয়েন্স ওপেনার। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পরিসংখ্যানও তার পক্ষে। সবমিলিয়ে তামিম দলে থাকলে ভালো হতো। এটা নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই।’
মাশরাফি বলেন, ‘আমি শুধু তামিম ইকবালকে নিয়ে দলের হিসেবে এটাই বলবো, অবশ্যই হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টের একটা পরিকল্পনা আছে। আমরাও চাই তারা সেটাতে সাকসেস (সফল) হোক। কারণ দিনশেষে এটা বাংলাদেশ টিম।’