এশিয়া কাপের শুরুটা ভালো করলেও শ্রীলঙ্কার কাছে হারের সুপার ফোর থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে উঠতে হলে আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে টাইগারদের। সেই সমীকরণ মাথায় নিয়ে তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে লিটন বাহিনী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন তানজিদ তামিম।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখে শুনেই ব্যাট করতে থাকেন সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটের ধার বাড়াতে থাকেন তারা। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৯ রান।
পাওয়ার প্লেতে শেষ হতেই বোলিংয়ে আসেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ওভারের চতুর্থ বলে সাইফকে বোল্ড আউট করেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২৮ বলে ৩০ রান করে সাইফ। তিনে ব্যাট করতে নেমে তামিমকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস।
কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি টাইগার দলপতি। ১১ বলে ৯ রান করে নুর আহমেদের প্রথম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। প্রথমে আম্পায়ার বাঁচিয়ে দিলেও রিভিউ নিয়ে লিটকে সাজঘরে ফেরান রশিদ খান। তবে ওপর প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন তামিম। ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ওপেনার।
ফিফটি পূরণের পর পিচে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তামিম। ৩১ বলে ৫২ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন তিনি। পাঁচে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়াতে পারেননি শামীম পাটোয়ারী। ১১ বলে ১১ রান করে রশিদ খানের দ্বিতীয় শিকার বনে যান তিনি।
ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। ২০ বলে ২৬ রান করে ওমরজাইকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ১৩ বলের ১৪ রান এবং নুরুল হাসান সোহানের ৬ বলের অপরাজিত ১২ রানে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল।
আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান ও নুর আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়াও আজমতুলাহ ওমারজাই শিকার করেন উইকেট।