জ্যাকসের সেঞ্চুরিতে বিপিএলের রেকর্ড সংগ্রহ কুমিল্লার

0
76
উইল জ্যাকস

চট্টগ্রাম পর্বে পা রাখতেই রানবন্যা দেখল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। বন্দরনগরীতে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২৩৯ রানের পাহাড়সমান পুঁজি দাঁড় করিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এটি যৌথভাবে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের ওপর একপ্রকার তাণ্ডব চালিয়েছেন উইল জ্যাকস-লিটন দাসরা। তবে রানবন্যার দিনে কিছুটা হতাশ করেছেন চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তাওহীদ হৃদয়। গোল্ডেন ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩৯ রানের পুঁজি পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামা যে ভুল ছিল, তা ক্রমেই বুঝেছেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক শুভাগত হোম। ইনিংস গোড়াপত্তনে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৬২ রান জড়ো করে লিটন দাস ও উইল জ্যাকস জুটি।

দলীয় ৮৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন ফেরেন ব্যক্তিগত ৬০ রানে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ বলে এই ইনিংস সাজান দলপতি। লিটনের পরই হৃদয়কে হারায় কুমিল্লা। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন টপ-অর্ডার এই ব্যাটার। শহিদুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।

এরপর ব্রুক গেস্টও দ্রুতই ফেরেন। ফেরার আগে ১১ বলে খেলেন ১০ রানের মন্থর এক ইনিংস।

তবে দলীয় রানের গতিতে উইকেটের আঁচ লাগতে দেননি জ্যাকস। চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ইংলিশ এই ওপেনার। তাকে যোগ সঙ্গ দেন আরেক ইংলিশ সুপারস্টার মঈন আলিও।

এরপর ৫০ বলে এই ফরম্যাটে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান জ্যাকস। শেষ পর্যন্ত ৫ চার ও ১০ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

অন্যদিকে ২৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি। ২ চার ও ৫ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান আলি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৯ রান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.