বাধা অতিক্রমই মানুষের বড় জয়

0
115
ভারতের তরুণ শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী আদিত্য নির্মল

আদিত্য নির্মল ভারতের তরুণ শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। মাত্র চার বছর বয়সে পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। রবিশঙ্করের নির্দেশনায় তিনি পণ্ডিত সমরেশ চৌধুরীর কাছে তালিম নেন। লক্ষ্ণৌর শিল্পী আদিত্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আয়োজিত শাস্ত্রীয় সংগীতের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। আকাশবাণী রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী আদিত্য মাত্র ২০ বছর বয়সে ২০১৩ সালে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারান। এই প্রতিবন্ধকতা জয় করে তিনি এগিয়ে চলছেন। দেশ-বিদেশে তাঁর অনেক শিক্ষার্থী আছেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসে কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। দৃষ্টিজয়ীদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে তিনি কর্মশালা করান। গত ১৯ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আদিত্যের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তাঁর সংগীতজীবন, সংগ্রাম, দর্শন উঠে আসে এই আলোচনায়। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম

আপনার মাতৃভাষা উর্দু। কিন্তু আপনি চমৎকার বাংলা বলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার আগ্রহ আছে।

আদিত্য নির্মল: ভারতবর্ষে লক্ষ্ণৌর উর্দুকে মনে করা হয় শুদ্ধ উর্দু। আমার সুবিধা হচ্ছে, সংগীতের জন্য ছোটবেলাতেই কলকাতার বাসিন্দা হয়েছি। আমি বাংলা জানায় আমার প্রয়াত মা শিখা সাক্সেনাও বাংলা বলা শিখেছিলেন।

দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর ১০ বছর ধরে আমি আপনাদের মতো আয়েশ করে বই পড়তে পারি না। কিন্তু সৃজনশীল বইপড়া সবার জন্যই খুব জরুরি।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যদি বলেন, তাহলে এই মুহূর্তে ‘একাত্তরের দিনগুলি’, ‘একাত্তরের চিঠি’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘নন্দিত নরকে’ বইগুলোর নাম আমার মনে পড়ছে। এ ছাড়া আহমদ ছফা ও হুমায়ূন আহমেদের অনেক বই পড়েছি। ব্রেইল পদ্ধতিতে স্পর্শ করে বই পড়া যায়। কিন্ডল, ইউটিউব থেকে অডিও বুক নামিয়েও নেওয়া যায়। আসলে ইচ্ছাটাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি বাংলাদেশের দৃষ্টিজয়ীদের জন্য কয়েকটি বই উপহার দিয়েছেন।

আদিত্য: আমার সংগ্রহশালা বড় নয়। ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়ার জন্য আমার কাছে সাড়ে পাঁচ শ বই আছে। সেখান থেকে কয়েকটি বই আমি এবার স্পর্শ ফাউন্ডেশনের জন্য নিয়ে এসেছিলাম।

আপনার বয়স যখন মাত্র চার বছর, তখন পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে দেখা হয়। এই দেখার মধ্য দিয়ে আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন ঘটে। ঘটনাটি আমাদের একটু বলুন।

আদিত্য: আমার বাবার বাড়ি উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে, মায়ের লক্ষ্ণৌ। লক্ষ্ণৌতে একসময় অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। ১৯৯৭ সালে পণ্ডিত রবিশঙ্কর এসেছিলেন লক্ষ্ণৌতে। পণ্ডিত সমরেশ চৌধুরী ছিলেন তাঁর শিষ্য। লক্ষ্ণৌতে সেই অনুষ্ঠানের সময় আমার মা নিরাপত্তাবেষ্টনী অতিক্রম করে পণ্ডিত রবিশঙ্করের কাছে আমাকে নিয়ে গেলেন। বললেন, আমার ছেলেকে আপনার তালিম দিতে হবে। তখন রবিশঙ্কর থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। তাঁর বয়সও হয়েছে। তিনি আমাকে পণ্ডিত সমরেশ চৌধুরীর কাছে নিয়ে বললেন, এত ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কী করা যায়, দেখ। পণ্ডিত সমরেশ চৌধুরী আমার মাকে বললেন, শেখাতে পারি, যদি ২০ বছরের জন্য ছেলেকে আমার কাছে দিয়ে দিতে পারেন। এর দুই থেকে তিন দিন পর লক্ষ্ণৌ ছাড়লাম। গুরুজি পণ্ডিত সমরেশ চৌধুরীর সঙ্গে একজন ছোট্ট শিক্ষানবিশ হিসেবে আমি কলকাতায় চলে এলাম।

সংগীতচর্চার জন্য মাত্র চার বছর বয়সে আপনি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন?

আদিত্য: হ্যাঁ, মা-বাবা-বোনদের কাছ থেকে ওই বয়সেই বিচ্ছিন্ন হলাম। এরপর টানা ২২ বছর আমি পণ্ডিত সমরেশ চৌধুরীর কাছে দীক্ষা নিয়েছি। কলকাতায় তালিম শুরুর পর বছরে একবার করে কিছুদিনের জন্য বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিতেন গুরুজি। তখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা হতো। ক্যানসারে আমার মা চলে গেলেন ২০১৯ সালে। তিনি আমার সবচেয়ে বড় মানসিক শক্তির জায়গা ছিলেন। তাঁর চলে যাওয়ার ছয় বছর আগে ২০১৩ সালে আমি আমার দৃষ্টিশক্তি হারাই।

আপনার দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়?

আদিত্য: সে সময় আমি জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৬ দলের হয়ে চেন্নাইয়ে ক্রিকেট খেলছিলাম। আমার দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হচ্ছিল। পরে ভুল চিকিৎসায় আমি পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারাই।

আপনার অনেক ছাত্র এখন দেশ-বিদেশে আছেন। শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে সাধারণ গানের শ্রোতাদের এত দূরত্ব কেন?

আদিত্য: আমি গানের স্কুল চালাই। দৃষ্টিহীনদের জন্য প্রযুক্তিচর্চা নিয়ে প্রশিক্ষণ দিই। দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর দুটি বোর্ড পরীক্ষায় আমি স্ট্যান্ড মার্কস পেয়েছি। বিভিন্ন দেশে ৭৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী আছে আমার। আমার ক্লাসে শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে যোগ, ধ্যান, আত্মার জন্য শান্তিমূলক গান শেখানো হয়। গান শোনাটাও একটা প্রশিক্ষণের ব্যাপার। এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আমার ক্লাসে।

শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে সাধারণ শ্রোতাদের দূরত্বের কথা জানতে চাইছিলেন। দেখুন, একটা সমাজে অনেক রকম মানসিক স্তরের ব্যক্তি থাকেন। শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে সাধারণ গানের শ্রোতাদের দূরত্ব তৈরি হওয়ার মূল দায়টা শিল্পীদের। শিল্পীর কাজ তাঁর শ্রোতাদের সঙ্গে দূরত্ব কমানো। কিন্তু আপনি যদি ভারতবর্ষে বিগত এক শ বছরের শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পীদের নিয়ে আলোচনা করেন, দেখবেন, তাঁদের মধ্যে সব সময়ই নির্দিষ্ট শ্রোতাকে উদ্দেশ করে সংগীত পরিবেশনের একটা দিক ছিল। সাধারণ শ্রোতাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলতেন না।

সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে কথা বলতে হবে। তাঁরা যা বোঝেন, সে প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললে প্রথমে তাঁদের আগ্রহ তৈরি হবে। এরপর শিল্পী ধীরে ধীরে মূল প্রসঙ্গে যাবেন। দেখুন, বাংলাদেশে অধিকাংশ অনুষ্ঠানে আমি রাগ পরিবেশন করেছি। তার আগে মূল গানটি গাওয়া হয়েছে। এতে শ্রোতা বুঝতে পারেন, যে রাগ তিনি শুনছেন, সে রাগের কোন গান কেমন হতে পারে। যেমন ধরুন, কাজী নজরুল ইসলামের ‘আয় মরু-পারের হাওয়া’শ্রোতা শুনলেন। এরপর আবার আলাদা করে মিশ্র মাঢ় পরিবেশন হলো। তখন শ্রোতা কিন্তু সেই সুর আরও অনেক বেশি বুঝতে পারেন। এভাবে শাস্ত্রীয় সংগীতকে আরও বেশি শ্রুতিতে আনা সম্ভব।

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান করলেন। সব কটিই কি গানের?

আদিত্য: সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি সংগীত কলেজ, সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রেওয়াজে অনুষ্ঠান করলাম। কোথাও প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছি, কোথাও গান শুনিয়েছি।

এ দেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ বলুন।

আদিত্য: ভারতবর্ষে একটা মনোভাব আছে, নজরুলগীতি আর রবীন্দ্রসংগীত ভালো গাওয়া হয় বাংলাদেশে। বাংলা ভাষার মান ঠিক আছে বাংলাদেশে। কিন্তু শাস্ত্রীয় সংগীত বাংলাদেশে ভালো গাওয়া হয় না। এই মনোভাব দীর্ঘদিনে তৈরি হয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা এখন এমন নয়। বাংলাদেশে অনেক গুণী শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী আছেন। যেমন পণ্ডিত বারীণ মজুমদার ছিলেন। পণ্ডিত অসীত দে অনেক বড় শিল্পী। অসীত রায়, অনীল কুমার সাহা, প্রিয়াঙ্কা গোপ, ওস্তাদ এবাদুল হক সৈকত—এমন অনেকে আছেন, যাঁরা বড় শিল্পী। আরও শিল্পী এখন তৈরি হচ্ছেন। আমার মনে হয়, শাস্ত্রীয় সংগীত নিয়ে বাংলাদেশের যোগ্যতা নিয়ে পুরোনো ধারণা অল্প সময়ের মধ্যেই ভুল প্রমাণিত হবে।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, দৃষ্টিহীন হলেই তাঁর জীবন শেষ। ভারতবর্ষেও এমনটা মনে করা হয়। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়। দৃষ্টিজয়ী মানুষদের অনেক সংকট আছে। কিন্তু তাঁদের সম্ভাবনাও আছে অনেক। সেই সম্ভাবনাকে প্রতিষ্ঠা করতে দৃষ্টিহীনদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

বাংলাদেশে দৃষ্টিজয়ীদের জন্য কাজ করছে নানা সংগঠন।

আদিত্য: কাজ হচ্ছে। কিন্তু তা বড় নগর অতিক্রম করে গ্রাম বা মফস্‌সলে পৌঁছাতে পারেনি। এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআইতে কর্মশালা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে আলাপ হলো প্রকল্পের পরিচালক ভাস্কর ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তাঁদের দক্ষতা ও কাজ দেখে আমি মুগ্ধ। কিন্তু মনে হয়েছে, দৃষ্টিহীনদের জন্য সেবা একটি বর্গের মধ্যে আটকে গেছে। ধরা যাক, রাজধানীর বাইরে কোনো জেলা শহরের একটি ছেলে দৃষ্টিহীন। তাঁর পরিবার এখনো জানে না, তাঁকে কোথায় নিয়ে গেলে সহজে ব্যবহার করা যায়—এমন টুলসগুলো সে হাতের কাছে পাবে। এটুআই ভাবছে, তারা কেমন করে ব্যাংকের সেবাগুলো সহজ করবে। কিন্তু একজন খুব সাধারণ পরিবারের দৃষ্টিহীন মানুষের ব্যাংকের সুবিধা গ্রহণের আগে প্রয়োজন তাঁর নিজের দৈনন্দিন জীবনের স্বাচ্ছন্দ্য। সেটা নিয়ে কম ভাবা হয়।

দৃষ্টিহীনদের জন্য কিছু সফটওয়্যার আছে, যেগুলো আমাদের জীবনযাপনকে আরও সহজ করে দেয়। যেমন টকব্যাক সফটওয়্যার, কারেন্সি ডিটেক্টর, টকিং থার্মোমিটার। এর সব কটির দাম হাতের মধ্যে। কোনো কোনেটি মোবাইলেই থাকে। শুধু সেটিংসটা বদলে দিতে হয়। আমাদের অনেকের ধারণা নেই যে, এই ছোট ছোট জিনিসগুলো একজন দৃষ্টিহীন মানুষের জন্য কতখানি স্বস্তি তৈরি করতে পারে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমি কথা বলেছি। এই সুবিধাগুলো আরও সহজ হওয়া উচিত দৃষ্টিজয়ীদের জন্য।

আপনি নিয়মিত বই পড়েন। সব ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আপনি সরব। কীভাবে সম্ভব হয়?

আদিত্য: আমি যেদিন প্রথম নিশ্চিত হলাম আর কখনো দেখতে পাব না, সেদিন রাতেও আমার মায়ের কথা ছিল—‘কাল ভোরে জাগতে হবে রেওয়াজ করতে।’ তিনি এমনভাবে কথাটা বললেন, যেন দৃষ্টি হারানো একটা সাধারণ ঘটনা।

জীবন আমাকে শিক্ষা দিয়েছে কম প্রতিক্রিয়াশীল হতে। হঠাৎ দৃষ্টিহীন হয়েছি। একই বছরে মাত্র দুই মাস আগ-পরে নিজের মা ও গুরুজিকে হারিয়েছি। দুজনই আমার ভরসার জায়গা ছিলেন। কিন্তু প্রতিটি ঘটনা আমাকে শিখিয়েছে, প্রতিক্রিয়া প্রকাশে সংযত হতে হয়। তা না হলে মানুষের সাধনার ক্ষতি হয়।

ফলে আমি চেয়েছি না পারা বিষয়গুলো করতে। প্রতিবন্ধকতার খোলস ভেঙে দেখতে চেয়েছি আমি। কাতর হলে তা সম্ভব নয়। তাই বলি, দৃষ্টিশক্তি হারানো বা অন্য যেকোনো প্রতিবন্ধকতাই মানুষের জীবনে আসতে পারে। সেটা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বাধা অতিক্রমই মানুষের বড় জয়। এ গেল মানসিক শক্তির কথা। বাকিটা নির্ভর করে আপনি কত দ্রুত নতুন প্রযুক্তি হাতের কাছে পাচ্ছেন, নিজেকে কতটা অভ্যস্ত করছেন—এসবের ওপর। সেখানে পরিবারের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব আছে। যেসব সংস্থা দৃষ্টিহীনদের নিয়ে কাজ করে, তাদের আরও গভীরে গিয়ে ভাবা দরকার।

আপনার মানসিক শক্তি ও স্থিতি দুটোই অনেক। জীবনে কখনো কখনো পরাজয়ও আসে। এমন ক্ষেত্রে নিজেকে কেমন করে বোঝান?

আদিত্য: উর্দু দুটো পঙ্‌ক্তি শুনবেন?

‘শুনাহে মানজিল মিলতে হ্যে উসকে পানেকি চাহাত মারজাতি হ্যে

আগার এ সাচ হ্যে তো ম্যায় না কামিয়া ভি রাহো তো আচ্ছা’

এর অর্থ হলো, লক্ষ্যে পৌঁছালে সে লক্ষ্য পাওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা তার মৃত্যু ঘটে। এই যদি সত্য হয়, তবে সারা জীবন সেই সফলতার অপেক্ষায় কাটালেই ভালো।

কাজ করতে হবে ফলের প্রত্যাশা না করে, নির্মোহভাবে। তাহলে আর পরাজয় আপনাকে পরাজিত করতে পারবে না।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আদিত্য: একটা অনুরোধ আছে আমার। বাংলাদেশের দৃষ্টিহীন মানুষদের জন্য আপনারা আরেকটু ভাববেন। আপনাকেও ধন্যবাদ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.