প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনও নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। যদিও দ্বিতীয় সেশনের এক তৃতীয়াংশ সময় বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে তাইজুল মিরাজে ২ রানে তিন উইকেট নিয়ে ফের চালকের আসনে বসেছে টাইগাররা। প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন মিলে আইরিশদের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগার বোলাররা। বিপরীতের আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৪৫ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই সাবধানী ছিলেন আইরিশ দুই ওপেনার। পঞ্চম ওভারে বিচ্ছিন্ন হয় আয়ারল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে অভিষিক্ত ওপেনার কমিন্সকে এলবিডব্লিউ করেন শরীফুল। ৪ মেরে রানের খাতা খোলা কমিন্স ফেরেন ৫ রানে। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাফল্য পেলেন এবাদত। শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জেমস ম্যাককলামকে। এক চারে ৩৪ বলে ১৫ রান করেন আইরিশ ওপেনার।
এরপর বাংলাদেশের দুই রিভিউ হারানোয় জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন বালবার্নি-টেক্টর। তব এই জুটি বড় হওয়ার আগেই ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে এলবির শিকার হয়ে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। ৫০ বল খেলে ১৬ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ২১ রানের জুটি।
তিন উইকেট হারিয়ে টেক্টর ও ক্যাম্ফারের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে আইরিশরা। টেক্টর ৮০ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৯২ বলে মিরাজের ঘূর্ণিতে ৫০ রানে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে অভিষিক্ত কার্টিস ক্যাম্ফারের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি গড়েন।
টেক্টর ফিরতেই ২ রানের মধ্যে আরো দুই উইকেট হারায় আইরিশরা। তাইজুলের বলে ফেরেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে নতুন ক্যারিয়ার গড়া পিটার মুর। ৮ বলে করেন মাত্র ১ রান। ক্যাম্ফারও টিকতে পারেননি, ফিরেছেন তাইজুলের পরের ওভারেই। ৭৩ বলে ৩৪ রান করেন ক্যাম্পার।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: মারে কমিন্স, জেমস ম্যাককলাম, অ্যান্ড্রু বলবার্নি, হ্যারি টেক্টর, পিটার মুর, কার্টিস ক্যাম্ফার, লরকান টাকার, মার্ক এডেয়ার, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন, গ্রাহাম হিউম ও বেন হোয়াইট।