এ সময়ের ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন তরমুজ থেকে
তরমুজের মূল লাল রঙের অংশে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে। বিচি ব্লেন্ডারে আধা ব্লেন্ড করে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে বাকলের ভেতরের সাদা অংশ থাকা ভিটামিন ‘এ’ মেছতার দাগ কমাতে সহায়তা করে। জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ শারমীন কচি।
যাঁদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা বাকলের ভেতরের সাদা অংশে একটু মধু লাগিয়ে নিতে পারেন। এরপর সরাসরি ত্বকে ধীরে মালিশ করুন। মেছতা দূর করার পাশাপাশি পোড়া ভাবও কমিয়ে আনবে। মধুতে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক উপাদান থাকায় ত্বকে প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। একইভাবে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করার সময় পানি বেশি আছে, এমন ক্রিম মিলিয়ে নিন। মরা কোষ দূর করবে। বাইরের অনেক দেশে তরমুজের বিচি দিয়ে ভেষজ স্ক্রাবার বানানো হয়। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করার আগে লেবুর রস মেলালে ভালো। এতে করে এ ধরনের ত্বকের বাড়তি তৈলাক্ত ভাব চলে যাবে।
তরমুজে থাকা ক্যারাটিন ত্বকের কোষ গঠন করতে সহায়তা করে। সূর্যের কারণে ত্বকের ওপর পড়া পোড়া দাগও কিছুটা কমিয়ে আনবে তরমুজ। ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য প্যাক হিসেবে ব্যবহার করার সময় টক দই মিলিয়ে নিতে পারেন। বরফের ট্রেতে তরমুজের রস ঢেলে জমিয়ে নিন। এরপর এই বরফের টুকরা প্রয়োজনমতো বের করে ত্বকে ব্যবহার করুন। ত্বকের ওপরের তাপমাত্রাও কমিয়ে আনবে এটি।
খামচি বা ত্বকের ওপরে পড়া যেকোনো আঁচড়ের দাগও দ্রুত কমাবে তরমুজের লাল অংশ। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে এ ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় নিয়মিত। তরমুজের মূল অংশটি হালকা থেঁতলে নিয়ে লাগালেই হবে। নিজেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করে উপকার পেয়েছেন বলে জানালেন শারমীন কচি।
তরমুজের রস থেকে চমৎকার টোনার বানানো যায়। রস ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে চুলায় ফুটিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা করে এক কাপ তরমুজ রসের সঙ্গে সিকি কাপের একটু বেশি অ্যাপল সিডার ভিনেগার এবং সিকি কাপের একটু বেশি গোলাপজল মিলিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এক সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। প্রকৃতি থেকে পাওয়া যেকোনো ভেষজ উপকরণ দুই-তিন দিন পরপরই ব্যবহার করা যাবে। রূপচর্চার এসব ঘরোয়া উপাদানে রাসায়নিক পদার্থ না থাকায় সপ্তাহে একাধিকবারও ত্বকে লাগানো যাবে নিশ্চিন্তে। তবে ভিটামিন এ এবং সি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তরমুজ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ।