‘তবে এটি সত্য, ছবিটি সাংবাদিক দম্পতির গল্প নিয়ে’

0
20
তানজিকা আমিন
‘অমীংমাসিত’ আসছে। আসতেই হবে…। তিন দিন আগে মডেল ও অভিনেত্রী তানজিকা আমিন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জনিয়েছেন এমন তথ্য। এর সূত্র ধরেই কথা হয় এ অভিনেত্রীর সঙ্গে। যে ওয়েব ছবিটি নিয়ে এতে আলোচনা এটি অবশেষে আসতে চলছে। কেমন লাগছে? ‘হ্যাঁ। প্রথমেই বলতে চাই অমীমাংমিত আসছে…। দর্শকের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। অনেকে কাজটি নিয়ে জানতে চাইছিলেন কবে এটি মুক্তি পাবে। তাদের জন্য সুখবর আসছে। এমন আটকে থাকা অনেক সৃজনশীল কাজ এখন দর্শক দেখতে পাবে। এর চেয়ে ভালোলাগার আর কী হতে পারে।’
তিনি যোগ করে আরও বলেন, ‘আমরা বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। এখন যেহেতু নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, তাদের কাছে সংস্কৃতিকর্মীদের প্রত্যাশা অনেক। এখন আমরা চাইছি সিনেমাটা আসুক এবং সবাই দেখুক। তবে অবশ্যই আমরা নিয়মকানুনের মধ্যে থাকতে চাচ্ছি। যেহেতু সেন্সরে দেওয়া হয়েছিল, তাই আবারও সেন্সরের মাধ্যমেই সিনেমাটি মুক্তি পাক–এটাই চাওয়া। এভাবেই পরিকল্পনা চলছে। হয়তো শিগগিরই অমীমাংসিত দর্শক দেখতে পাবেন। আমিও অপেক্ষায় আছি সবার সঙ্গে নিজের অভিনীত কাজটি দেখার।’
সিরিজে তানজিকাকে দেখা যাবে ‘নীরু’ নামে এক সাংবাদিকের চরিত্রে। অভিনয় ক্যারিয়ারে এর আগেও তাঁকে এ ধরনের চরিত্রে দেখা গেছে। তবে ‘অমীমাংসিত’ কাজটিতে একেবারে ভিন্নরূপে পর্দায় হাজির হচ্ছেন তিনি। ‘নীরু’ চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল? জবাবে তানজিকা বলেন, ‘অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আমি সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেছি। তখন চরিত্রটি নিয়ে বেশি গবেষণা হয়নি। এটি তো ওটিটির কাজ। তাই চরিত্রটির জন্য বেশ গবেষণা ও আলোচনা করতে হয়েছে। সাংবাদিকদের পেশাগত জীবনযাপন কাছে থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। কেউ কেউ বলছেন, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে ওয়েব ফিল্মটি তৈরি হয়েছে। তবে এটি সত্য, ছবিটি সাংবাদিক দম্পতির গল্প নিয়ে। আমরা অনেক গল্পই ছায়া অবলম্বনে তৈরি করি। এটি কি ছায়া অবলম্বনে নাকি সত্য ঘটনা অবলম্বনে, তা দর্শক দেখার পরই বলুক। আশা করছি, কাজটি দর্শকের ভালো লাগবে।’
বলা দরকার, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সিরিজটি নির্মাণ করেছেন রায়হান রাফি। এতে তানজিকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। ওয়েব মাধ্যমে কাজের পাশাপাশি টিভি মাধ্যমেও ব্যস্ততা রয়েছে তানজিকার। কাজ করছেন শাহরিয়ার তাশদিকের পরিচালনায় ‘সিটি লাইফ’ ধারাবাহিকে। নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন সৌন্দর্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘সৌন্দর্য কথা’।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল তখন থেকেই এতে সমর্থন জুগিয়ে আসছিলেন তানজিকা। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ছিলেন সরব। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শেষে গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। এ সরকারের কাছে তাঁর প্রত্যাশাও অনেক। এ প্রসঙ্গে তানজিকা বলেন, ‘সেন্সর প্রথা বাতিল করতে হবে। এটি দীর্ঘদিনের দাবি নির্মাতাদের। তাদের যদি হাত পা বেঁধে দেওয়া হয় তাহলে তো তারা কিছু দেখাতে পারবেন না। সিনেমা ও নাটকের মধ্যে অনেক বক্তব্য থাকে। পরিচালকদের আসল মেসেজ অন্যভাবে দেখাতে হয়। শিল্পীরা যেন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.