কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে হল না ছাড়ার কথা বলছেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা প্রত্যাখান করছি, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন নস্যাৎ করার যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটার ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। হল না ছাড়ার বিষয়ে সব শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ আছি। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের হামলা থেকে বাঁচায়নি, আমরা তাদের কথা শুনতে বাধ্য না।’
আরেক সমন্বয়ক রিফাত রশীদ বলেন, ‘আমরা হল ছাড়ার পক্ষে না। হল ছাড়তে বলার কারণ আমাদের আন্দোলন বন্ধ করা। আমরা এই ফাঁদে পা দেব না।’
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ও বিজিবিকে সরে যেতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা বা নাতিপুতি’ বলা হয়েছে অভিযোগ করে রোববার রাত থেকে প্রতিবাদ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। মঙ্গলবার সেই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে ৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বুধবার ‘গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল’ করবে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালিত হবে। #কোটাআন্দোলনকারী #explore #everyone #বাংলাদেশ