অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি মামলা তুলে নেওয়া আইনসম্মত ছিল কি না, এ বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিষয়টি নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে, গত ১১ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পান নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ আদেশ দেন।
তার আগে গত ৭ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা থেকে ড. ইউনূসকে খালাস দেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। ওইদিন আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
গত ১২ জুন শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সবশেষ গত ১১ আগস্ট ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী মামলার প্রসিকিউশন প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম ড. ইউনূসকে দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস দেন।