রাজশাহীতে ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে ওঠা চারঘাটে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কীটতত্ত্ব জরিপ চালানো হয়েছে। এতে বেশির ভাগ জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। তবে উপজেলার মুংলী গ্রামের শতভাগ জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই গ্রামে গত এক মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক স্কুলছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামের ঘরে ঘরে মানুষ জ্বরে ভুগছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ দিন ধরে চারঘাটের ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে বেশি।
এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চারঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুংলী গ্রামসহ তিন কিলোমিটার এলাকার লার্ভা নিধনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, চারঘাটের মতো এত বেশি এডিস মশার লার্ভা আর কোথাও পাওয়া যায়নি। তার মধ্যে মুংলী বাজার এলাকায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। তাঁরা বিভিন্ন দপ্তরে এই জরিপের প্রতিবেদন পাঠাচ্ছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়ে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করবেন।
গত সোমবার মুংলী গ্রামসহ উপজেলা সদরের ১৯টি স্থানে জরিপ চালানো হয়। এতে ১৩টি স্থানেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। আর মুংলী গ্রামের নয়টি জায়গায় জরিপ করা হয়েছে। তাতে শতভাগ জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এসব জায়গায় দইয়ের পাত্র, মাটির কুলা, ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের মগ, প্লাস্টিক লাইটের কভারে জমানো পানিতে এসব লার্ভা পাওয়া গেছে।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহরাব হোসেন বলেন, তাঁরা মুংলী, তার পাশের অনুপমপুর ও চারঘাট বাজারের তিন কিলোমিটার এলাকায় পাঁচটি ফগার মেশিন দিয়ে লার্ভা নিধন করেছেন। একই সঙ্গে এসব এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ও পৌরসভার থেকে দেওয়া ওষুধ ছিটানো হয়েছে। এলাকাবাসীকে সচেতন করা হয়েছে