ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৭২ জন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন এবং খুলনা বিভাগে ১৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৪ হাজার ৮০৪ জন। এদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী। এ সময়ের মধ্যে মারা যাওয়া ৯২ জনের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী এবং ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছরই বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসা নিয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।