দীর্ঘদিন পর আপনার সিনেমা। এত সময় নিলেন কেন?
আমার প্রথম ছবি ‘প্রতিশোধের আগুন’ মুক্তি পায় ২০১৯ সালে। এর পর থেকে নিয়মিত কাজ করেছি। ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আরও ছয়টি ছবির কাজ শেষ করেছি—‘মাফিয়া’, ‘অমানুষ হলো মানুষ’, ‘জ্বলছি আমি’, ‘বাংলার হারকিউলিস’, ‘বান্ধব’ ও ‘বাহাদুরি’। সব কটিই সেন্সর হয়ে বসে আছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো মুক্তি না দিলে আমার তো কিছু করার নেই। মাঝে করোনাও একটা ব্যাপার ছিল। এখন ছবিগুলো পর্যায়ক্রমে মুক্তি পাবে।
সিনেমা একবার শুরু করলে আর ফিরে আসব না
আমাদের সমাজের চেনা গল্প। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন দেখা যায়, সুন্দরভাবে তা উঠে এসেছে। পরিবার নিয়ে দেখার মতো ছবি।
পরিচালক বলেছেন, ছবির বাজেট কম, শুটিংয়েও সময় কম ছিল।
বাজেট কম কি না, জানি না। তবে কাজটি ভালো হয়েছে। ডিপজল ভাইয়ের বিপরীতে কাজ করেছি। গুণী নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর নির্মাণ করেছেন। এ ধরনের গল্পের ছবির একসময় খুব চাহিদা ছিল। আমাদের মা-খালারা এখনো এ ধরনের সামাজিক ছবি দেখতে চান। ছবিটি করে অনেক কিছু শিখেছি। এটি আমার ক্যারিয়ারের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ডিপজলের বিপরীতে প্রথম কাজ।
প্রথম দিন নার্ভাস ছিলাম। প্রথম দৃশ্যই ছিল ডিপজলকে চড় মারতে হবে। লোকেশনে এফডিসির অনেক বড় বড় মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে কী করব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমার নার্ভাস অবস্থা বুঝে সবাই সাহস দিচ্ছিলেন। প্রথম শটেই ওকে হয়েছিল দৃশ্যটি। ডিপজল ভাই আমাকে বলেছিলেন, ‘তোকে দিয়ে হবে।’ এটি আমার জন্য বড় পাওয়া।
গুঞ্জন আছে, প্রথম ছবির নায়কের প্রেমে পড়েছিলেন। সত্যি নাকি?
না, আমি আজ পর্যন্ত কখনোই কারও প্রেমে পড়িনি। প্রেম করলে জানিয়েই করব। শোবিজের বেশির ভাগ তারকাই প্রেমের খবর গোপন রাখেন। কিন্তু আমি করলে জানিয়ে করব, কথা দিলাম।
আর কী কী কাজ করছেন?
মোহাম্মদ আসলামের তবুও প্রেম ছবির শুটিং চলছে। ১৬ জুন ডিপজল ভাইয়ের বিপরীতে আরেকটি নতুন ছবির শুটিং শুরুর কথা আছে।