ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে

0
173
বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে শিগগিরই আবেদন আহ্বান করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাগুজে নথি জমা দিয়ে নয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র ডিজিটাল উপায়েই জমা দিতে হবে। আবেদন ফি হবে পাঁচ লাখ টাকা, যা অফেরতযোগ্য। আর এই ব্যাংক খুলতে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা।

নতুন এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক চাইছে, বিদেশি কোনো ডিজিটাল ব্যাংক তথা সফট ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসুক। কারণ, তাদের উচ্চ প্রযুক্তি, নিরাপত্তাব্যবস্থা, অভিজ্ঞতা ও বিনিয়োগ সবই রয়েছে। তারা এ দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের সঙ্গে থাকলে গ্রাহকেরাও আস্থা পাবেন, তাঁদের আমানতও সুরক্ষিত থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা পর্যালোচনা ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের নীতিমালা চূড়ান্ত করার পর গতকাল এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এতে নীতিমালার পাশাপাশি আবেদনের যাবতীয় ছক দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই ব্যাংকের কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ বা কোনো স্থাপনা থাকবে না। মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করেই ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী চলবে এই ব্যাংক।

জানতে জাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেকেই এ বিষয়ে যোগাযোগ করছেন। তদবির এড়াতে ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন ডিজিটাল পদ্ধতিতে আহ্বান করা হবে। এই ব্যাংকের অনুমোদন দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক শিগগির আবেদন আহ্বান করবে।

আমরা চাইছি, সফট ব্যাংকের মতো বিদেশি ব্যাংক এ দেশে আসুক। কারণ, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা ছাড়া এই ব্যাংক ভালোভাবে চালানো কঠিন হবে। প্রচলিত ব্যাংকের মতো এসব ব্যাংক চলুক, এটা আমরা চাই না।’

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের মূলধন সংরক্ষণ চুক্তি করতে হবে।কোনো ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়লে তা উদ্যোক্তাদের জোগান দিতে হবে।ঋণখেলাপি কেউ ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না।এমনকি ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের কারও বিরুদ্ধে ঋণখেলাপিসংক্রান্ত কোনো মামলা আদালতে চলমান থাকলে তাঁরাও আবেদন করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.