বৈঠকে প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও সময়ের অভাবে তা আজ হয়নি। এ ছাড়া প্রস্তাবিত এই আইনের নতুন একটি খসড়া আজকেই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য এটি আরও পর্যালোচনা করে আগামী ৬ এপ্রিল তা নিয়ে আবারও বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ৩০ মার্চ আবারও বৈঠক হবে।
বৈঠক শেষে প্রথমে নিজেদের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যমসহ নাগরিকদের বড় ধরনের উদ্বেগ আছে। আইনমন্ত্রীও তাঁর আলোচনায় বলেছেন অনেক ক্ষেত্রে এটির অব্যবহার হয়েছে। সার্বিকভাবে তাঁদের (নাগরিক সমাজ) অবস্থান হলো তাঁরা মনে করেন আইনটি বাতিল করা দরকার। এর বিকল্প নেই। কারণ, মৌলিক যে ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং উদ্বেগের জায়গা আছে এবং অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা মনে করেন এটিকে ঢেলেও সাজালেও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।এ সময় ইফতেখারুজ্জামানের পাশে আইনমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ইফতেখারুজ্জামানের বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমস্যাগুলো দূরীকরণের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারপরও কোনটা কোনটায় পরিবর্তন এবং কোনটা কোনটা এখন যেটা আছে, তা সঠিক সে বিষয়ে আজকে তুলে ধরেননি। কারণ, হলো আজকে তাঁরা সেই সময় পাননি। সে জন্য আবারও ৩০ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে চলা এই আলোচনা আবারও করবেন।