ডিএসসিসি এলাকার ১২ স্থাপনাকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা

0
167

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার ১২ স্থাপনাকে এক লাখ ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বুধবার করপোরেশনের আওতাধীন পরিবাগ, শাগবাগ, উত্তর মুগদা, দক্ষিণ মুগদা, ঝিগাতলা, বাবুবাজার, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, পূর্ব নন্দীপাড়া, পূর্ব শেখদি ও কুতুবখালী এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ডিএসসিসির এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক ২১ নম্বর ওয়ার্ডের পরিবাগ ও শাহবাগ এলাকায় ৩৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং এনডিই লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত একটি নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পান। আদালত এ সময় এনডিই লিমিটেডের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশীদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিগাতলা এলাকায় ৫২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ২টি নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি ভবনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার রাসেল আহমেদকে ৫০ হাজার ও আরেকটি ভবনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার সুজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও জরিমানা আদায় করেন।

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পান। আদালত এ সময় এক মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নন্দীপাড়া এলাকায় ৩৬টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শেখদি এলাকায় ৫২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবখালী এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় চার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এদিন অভিযানে সর্বমোট ২৬৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১২ মামলায় সর্বমোট এক লাখ ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়া বিশেষ চিরুন অভিযানে ৯৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা ও চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হচ্ছে। এরপর সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব অভিযানে করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা অংশ নিচ্ছেন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.