আট বছর পর ফিরেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। প্রত্যাবর্তন টুর্নামেন্টের চতুর্থ দিনে নতুন করে লেখা হলো বড় দুটি রেকর্ড। ২১ বছরের পুরোনো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির রেকর্ড ভেঙেছে ইংল্যান্ড ও দলটির ওপেনার বেন ডাকেট। তা কী রেকর্ড হলো? ইংল্যান্ড গড়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আর ডাকেট গড়েছেন এই টুর্নামেন্টের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড।
ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেট ১৪৩ বলে ১৬৫ রান করেছেন। এই রেকর্ডটি এত দিন ছিল নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের। ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৭৭ বলে ১৪৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন অ্যাস্টল। জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ২০০২ সালে ভারতের বিপক্ষে ১৬৪ বলে ১৪৫ রান করেছিলেন। পরের দুটি নাম ভারতের দুই কিংবদন্তির, ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সৌরভ গাঙ্গুলী ১৪১ ও ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারও ১৪১ রান করেছিলেন। টেন্ডুলকার আউট হলেও সৌরভ অপরাজিত ছিলেন।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ
রান | ব্যাটসম্যান | দল | প্রতিপক্ষ | সাল |
---|---|---|---|---|
১৬৫ | বেন ডাকেট | ইংল্যান্ড | অস্ট্রেলিয়া | ২০২৫ |
১৪৫* | নাথান অ্যাস্টল | নিউজিল্যান্ড | যুক্তরাষ্ট্র | ২০০৪ |
১৪৫ | অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার | জিম্বাবুয়ে | ভারত | ২০০২ |
১৪১* | সৌরভ গাঙ্গুলী | ভারত | দক্ষিণ আফ্রিকা | ২০০০ |
১৪১ | শচীন টেন্ডুলকার | ভারত | অস্ট্রেলিয়া | ১৯৯৮ |
তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়ে বেন ডাকেট দলকেও এনে দিয়েছেন রেকর্ড সংগ্রহ। তাঁর ইনিংসের ওপর ভর করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রান করেছে ইংল্যান্ড। এত দিন এই রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অ্যাস্টলের সেঞ্চুরির দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রান করেছিল কিউইরা। তিনে আছে পাকিস্তান, ভারতের বিপক্ষে গত আসরে কার্ডিফে ৪ উইকেটে তারা করে ৩৩৮ রান।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলীয় সর্বোচ্চ
রান | দল | প্রতিপক্ষ | সাল |
---|---|---|---|
৩৫১/৮ | ইংল্যান্ড | অস্ট্রেলিয়া | ২০২৫ |
৩৪৭/৪ | নিউজিল্যান্ড | যুক্তরাষ্ট্র | ২০০৪ |
৩৩৮/৪ | পাকিস্তান | ভারত | ২০১৭ |
৩৩১/৭ | ভারত | দ. আফ্রিকা | ২০১৩ |
৩২৩/৮ | ইংল্যান্ড | দ. আফ্রিকা | ২০০৯ |
এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ হয়েছে—এর মধ্যেই সেঞ্চুরি হয়ে গেছে ছয়টি। এটি অবশ্য রেকর্ড নয়, ২০০২ ও ২০১৭ সালের আসরে ১০টি করে সেঞ্চুরি হয়েছে। এবার তা ছাড়িয়ে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনাই তৈরি হলো তাতে।