আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাত বন্ধে তিনি পদক্ষেপ নেবেন বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে বন্ধ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ; মধ্যপ্রাচ্য নিয়েও একটা সমাধানে পৌঁছাবেন। বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান নড়বড়ে অবস্থা পরবর্তনেও ট্রাম্প ভূমিকা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ক্ষমতায় বসেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শাসনামলে এক অন্য যুক্তরাষ্ট্র দেখেছে বিশ্ববাসী।
সংঘাত নয় বরং ব্যবসাকে গুরুত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ‘চির শত্রু’ হিসেবে পরিচিত উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। সেসময় কিমকে ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন ট্রাম্প। সব ধরনের বৈরিতা বাদ দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করেন ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারও শুরু করেন তৎকালীন এই প্রেসিডেন্ট।
যদিও, ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেন জয়ী হওয়ার পর আবারও পাল্টে যায় মার্কিন নীতি। সংঘাতকেই বেছে নেন জো বাইডেন। যার জেরে বিশ্ব দেখছে রাশিয়া-ইউক্রেন এবং হামাস ও ইসরাইলের সংঘাত। এই দুই যুদ্ধের দায়ভার বাইডেনের ওপরই চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার বার বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে এই যুদ্ধ কখনো শুরুই হতো না। এমনকি বাইডেনের কারণেই হাজারও নিরীহ মানুষের প্রাণ ঝরছে বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প।