যুক্তরাষ্ট্রে ৫ দশকে প্রথমবার কমেছে অভিবাসীর সংখ্যা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর, কমেছে প্রায় ১৪ লাখ অভিবাসী। প্রশাসনের নানা কঠোর নীতি এবং অভিযানের কারণেই হ্রাস পেয়েছে এ সংখ্যা। এটাকে অভিবাসন নীতির বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছেন ট্রাম্প।
মূলত দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, অভিবাসনবিরোধী নানা পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে কঠোর নীতি আর অভিযানে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসনপ্রার্থীরা। এরই মধ্যে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট বলছে, গেল ৫ দশকে দেশটিতে প্রথমবার কমলো অভিবাসীদের সংখ্যা।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই মার্কিন মুলুকে কমেছে প্রায় ১৪ লাখ অভিবাসী। বর্তমানে অভিবাসীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ দশমিক ৯ মিলিয়ন। যা, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে ছিল ৫৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন। একে অভিবাসন নীতির বড় সাফল্য হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) জানিয়েছে, ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়েছেন প্রায় ১৬ লাখ অভিবাসনপ্রার্থী। একইসাথে, গেল মাসগুলোয় গ্রেফতার হয়েছেন বৈধ কাগজপত্রহীন সাড়ে ৩ লাখের বেশি। বহিষ্কৃত হয়েছেন কাছাকাছি সংখ্যক মানুষ।
অন্যদিকে, কমেছে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারও। বর্তমানে, প্রতিমাসে দেশটিতে ঢুকছেন ৫ হাজারেরও কম মানুষ। বিগত শাসনামলে অনেকে মার্কিন ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারলেও, পুরোপুরি সেই সুযোগ বন্ধ করেছেন ট্রাম্প। তাছাড়া- আশ্রয়প্রার্থী, বিদেশি শিক্ষার্থী ও ভিসাধারীদের জন্যও কঠোর হয়েছে নিয়মকানুন।
প্রসঙ্গত, এতোকিছুর পরও যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশেরও বেশি অভিবাসী। মার্কিন শ্রমশক্তির প্রায় ২০ ভাগই জন্মগ্রহণ করেছে অন্য কোনো দেশে।