প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা ট্রাম্পের এই হোটেলে বেশ আয়েশে সময় কাটিয়েছেন। যেমন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোটেলে থাকার সময় দেড় হাজার ডলার দিয়ে একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক রেখেছিলেন। সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিলাসবহুল কয়েকটি স্যুট ভাড়া করা হয়। এগুলোর একেকটির ভাড়া ছিল সাড়ে ১০ হাজার ডলার। কাতারের কর্মকর্তারা ২০১৮ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিন লাখ ডলার হোটেলের বিল মিটিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তাঁর হোটেলে কীভাবে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন, এসব বিষয় এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে ওভারসাইট কমিটি ধারণা করেছিল, ট্রাম্পের এ হোটেল প্রায় ৪০ লাখ ডলার আয় করেছে বিভিন্ন বিদেশি সরকারের কাছ থেকে। আর এটা হয়েছে ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। এটা সংবিধানেরও ব্যত্যয়।
তবে নতুন যে প্রতিবেদন গতকাল দেওয়া হয়েছে, সেখানে শুধু কয়েক মাসের হিসাব দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনকে প্রভাবিত করতেই তাঁর মালিকানাধীন হোটেলে তাঁরা থেকেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যেসব দেশের লোকজন ট্রাম্পের হোটেলে থেকেছেন, তাঁদের হয়ে কাজ করেছেন রিপাবলিকান পার্টির লবিস্টরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তাঁর ব্যবসা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে একাধিক তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প। রাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নিজের বাসভবনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এফবিআই ট্রাম্পের মার-আ-লাগো বাসভবনে হানা দিয়েছে।