যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি। এতে রিপাবলিকান পার্টি থেকে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থিতা নিশ্চিত হচ্ছে।
‘সুপার টুয়েসডেতে’ অনুষ্ঠিত ১৫টি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির প্রাইমারিতে (দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের) ১৪টিতে জয় পান সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একমাত্র ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যালি।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় হ্যালিকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে থাকা এক ডজন প্রার্থীর মধ্যে হ্যালি ট্রাম্পের সবশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী, যিনি সরে দাঁড়ালেন। স্থানীয় সময় আজ বুধবার সকালে সাউথ ক্যারোলাইনার চার্লসটনে সরে দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন নিকি হ্যালি। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, যাঁরা ট্রাম্পকে সমর্থন করেননি, তাঁদের ভোট তাঁকে অর্জন করে নিতে হবে।
হ্যালির একজন উপদেষ্টা বলেন, যদিও সুপার টুয়েসডেতে হ্যালির টিম ভারমন্টে জয় পেয়েছে এবং ভার্জিনিয়ার শহরতলিতে শক্ত সমর্থন দেখাতে পেরেছে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে যে পরিমাণ ভোট পাওয়া দরকার, তা পাওয়া যায়নি।
সামোয়ায় স্বল্প পরিচিত জ্যাসনের কাছে হার বাইডেনের
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে সুপার টুয়েসডেতে ১৪টি অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর সব কটিতে জয়ী হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে আমেরিকান সামোয়া অঞ্চলে অনুষ্ঠিত ককাসে হেরে গেছেন তিনি।
আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী বাইডেন যাঁর কাছে হেরেছেন, তিনি খুব স্বল্প পরিচিত একজন ব্যবসায়ী। তাঁর নাম জ্যাসন পামার।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট অঞ্চল আমেরিকান সামোয়ায় ডেমোক্র্যাটদলীয় ককাসে ভোট পড়েছে ৯১টি। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পদে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যাসন পামার পেয়েছেন ৫১টি ভোট। আর বাইডেন পেয়েছেন ৪০টি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পামার লিখেছেন, ‘আমেরিকান সামোয়ায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পদের প্রাথমিক বাছাইয়ে আমার বিজয়ের খবর ঘোষণা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।’ তাঁকে সমর্থন দেওয়ায় স্থানীয় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
আমেরিকান সামোয়ায় জয়লাভের মধ্য দিয়ে জ্যাসন পামার শুধু চারজন প্রতিনিধির সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। সেদিক থেকে প্রার্থী মনোনয়নের দৌড়ে তাঁর অবস্থান বাইডেনের ধারেকাছে নেই। সামোয়ায় হারলেও বাইডেনের প্রার্থিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বললেই চলে।
এর আগে ২০২০ সালে আমেরিকান সামোয়া অঞ্চলে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাথমিক বাছাইয়ে জয়ী হয়েছিলেন ধনকুবের মাইকেল ব্লুমবার্গ। যদিও তিনি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাননি।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে লক্ষাধিক নিবন্ধিত ভোটার ‘আনকমিটেড’ (ইচ্ছুক নই) ভোট দেন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বাইডেনের নিরঙ্কুশ সমর্থনের প্রতিবাদে এমন অবস্থান নেন এই ভোটাররা।