টেকনাফে বাহারছড়ায় পানের বরজ থেকে দুই কৃষককে অপহরণ করেছে পাহাড়ি ডাকাতরা। এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে আরও দুইজন কৃষককে কুপিয়ে জখম করেছে তারা।
রোববার সকালে টেকনাফের বাহাছড়ার জাহজপুরা পাহাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলেন, উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা মো. রহিম (৩২) ও মো. রেদোয়ান (২০)। আহতরা হলেন, আবদুল আমিন ও আব্দুল্লাহ।
এ বিষয়ে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মছিউর রহমান বলেন, বিষয়টি শোনার পরই আমরা ঘটনা স্থলে এসেছি। এলাকার মানুষ নিয়ে আমরা পাহাড়ে ঢুকবো। তবে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, সকালে পাঁচজন কৃষক পাহাড়ের কাছাকাছি পানের বরজে কাজ করতে গেলে ডাকাতের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তিনজন পালালেও ২ জনকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পালিয়ে আসার সময় ২ জনকে কুপিয়ে জখম করে তারা।
তিনি জানান, এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি অস্ত্রধারী ডাকাত দল অপহরণ-মুক্তিপণ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এখানকার বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, গত ৬ মাসে ক্যাম্পসহ টেকনাফের পাহাড়ে ৭২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ও ৩২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। সর্বশেষ গত ২৬ এপ্রিল নয়াপাড়া ক্যাম্পের তিন শিশু অপহরণের শিকার হন। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন। এছাড়া গত ৩ মার্চ ২ শিশুকে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় অহরণকারীরা। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় খেত পাহারারত ৪ কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরেন। এছাড়া গেল ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন ৮ ব্যক্তি। পরে তারাও ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন।