
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড় থেকে নারী, শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার করছে যৌথ বাহিনী। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। এতে ১৮ জন নারী, ১২ জন পুরুষ ও ৮ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড জানায়, উদ্ধার হওয়া এসব ব্যক্তিকে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে পাহাড়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা নাগরিক। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। তবে বিকেল চারটা পর্যন্ত তাঁদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, মানব পাচার চক্রের আটক দুই সদস্যর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মানব পাচার ও অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম রোধে কোস্টগার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
টেকনাফ উপজেলায় পাচারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৭০ জন মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধার করা হয়েছে নারী, শিশুসহ ২৩৯ জনকে। শীত মৌসুমে এ ধরনের ঘটনা বাড়ে।
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, আজ আরও ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁদের আগামীকাল শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।