টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মার্শ, বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে নেই লাবুশেন

0
140
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে সুযোগ পাননি মারনাস লাবুশেন

অস্ট্রেলিয়ার নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হয়েছেন মিচেল মার্শ। এ মাসের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের তিন ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন এ অলরাউন্ডার। এ সফরে নতুন চেহারার টি-টোয়েন্টি দল দেখবে অস্ট্রেলিয়া, গত নভেম্বরে দলটির সবশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একাদশ থেকে এ সফরে আছেন মাত্র পাঁচজন। সফরে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্যও দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। এ দলটিই বিশ্বকাপের আগে ভারত সফরেও খেলবে, বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলও এটি। সেখানে জায়গা হয়নি মারনাস লাবুশেনের।

অ্যাশেজের সবশেষ টেস্টে কবজিতে চোট পাওয়া নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে দলে রাখা হয়েছে। তখন বলা হয়েছিল, শেষ টেস্টের শেষ দিনে পাওয়া চোট থেকে সেরে উঠতে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে কামিন্সের। তবে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এ সফরে কামিন্সকে রাখা হয়েছে।

কামিন্স ওয়ানডে সিরিজেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন, কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন না। ওয়ানডে সিরিজের শুরুতেও যদি কামিন্সকে না পাওয়া যায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিতে পারেন মার্শই। অস্ট্রেলিয়া সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিল ভারত সফরে, এ বছরের মার্চে। সে সময় অনুপস্থিত কামিন্সের বদলে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ।

চোটে পড়া কামিন্সকে রাখা হয়েছে ওয়ানডে দলে, টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে মার্শকে (ডানে)
চোটে পড়া কামিন্সকে রাখা হয়েছে ওয়ানডে দলে, টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে মার্শকে (ডানে)রয়টার্স

কামিন্সকে নিয়ে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে সিরিজে সে দলে যোগ দেবে, এমন প্রত্যাশা আমাদের। এ বিশ্রামটা প্যাটের জন্য আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি, যেহেতু সামনে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আছে। বিশ্বকাপের আগে সে বেশ কয়েকটি ম্যাচই খেলার সুযোগ পাবে, যেটি প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট হবে।’

৩০ আগস্ট ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে হবে পরের দুটি টি-টোয়েন্টি। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, ক্যামেরন গ্রিন, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার—নিয়মিত দলের কেউই টি-টোয়েন্টিতে নেই। তবে তাঁরা সবাই ওয়ানডে দলে যোগ দেবেন। অবশ্য ওয়ানডে দলে লাবুশেনের না থাকাও বড় ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ ৯টি ওয়ানডের সব কটিতেই খেলেছিলেন তিনি।

১৮ সদস্যের ওয়ানডে দলে রাখা হয়েছে লেগ স্পিনার তানভির সাঙ্ঘা, অলরাউন্ডার অ্যারন হার্ডিকে। দুজনের কারোরই এখনো আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি। টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেই পিতৃত্বকালীন ছুটিতে যাবেন বলে ওয়ানডে দলে নেই ম্যাক্সওয়েল। তবে বিশ্বকাপের আগে ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে অস্ট্রেলিয়া।

এ বছর ওয়ানডে খেললেও গত বছর দেশের মাটিতে হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপের পর আর টি-টোয়েন্টি খেলেনি অস্ট্রেলিয়া। গত ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন তখনকার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক খোঁজার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার খুব একটা তাড়া ছিল না।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্বের স্কিল বাড়িয়ে নেওয়ার একটি সুযোগ তার সামনে এটি

মিচেল মার্শকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর জর্জ বেইলি

সবশেষ অ্যাশেজে টেস্ট সংস্করণে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন হয় মার্শের। এক সময় এ অলরাউন্ডার বলেছিলেন, ‘পুরো অস্ট্রেলিয়াই আমাকে ঘৃণা করে’। এখন অবশ্য তাঁর উত্থানটা হচ্ছে দারুণ। তবে এখনোই দীর্ঘমেয়াদে মার্শকে এ সংস্করণে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না।

নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘সাদা বলের কাঠামোর মধ্যে মিচ (মার্শ) সিনিয়র ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্বের স্কিল বাড়িয়ে নেওয়ার একটি সুযোগ তার সামনে এটি। দক্ষিণ আফ্রিকায় সে এমন একটি ধাপে যাচ্ছে, সেটি দেখতে উন্মুখ হয়ে আছি আমরা।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.