মিরাজ-শান্তর সেঞ্চুরিতে রেকর্ড রান বাংলাদেশের

0
98
ওপেনিংয়ে নামা মেহেদী মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্ত সেঞ্চুরি করেছেন। ছবি: এএফপি

ফ্ল্যাট উইকেটে বড় রানের ভিত্তি টপ অর্ডারকে গড়ে দিতে হয়। প্রাণহীন লাহোরের উইকেটে সেখানে বাংলাদেশ নামে মেকশিফট ওপেনার নিয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ওই মেকশিফট ওপেনার মেহেদী মিরাজই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তার সঙ্গে জুটি গড়া নাজমুল শান্তও সেঞ্চুরি পেয়েছেন। বাংলাদেশ পেয়েছে ৫ উইকেটে ওয়ানডেতে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৪ রানের সংগ্রহ।

রোববার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচেও টস জেতেন অধিনায়ক সাকিব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের একাদশে তিন পরিবর্তন এনে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তানজিদ তামিমকে বাদ দিয়ে নাঈম শেখের ওপেনিং সঙ্গী করা হয় মেহেদী মিরাজকে। তারা ১০ ওভারে ৬৩ রানের ভালো একটা জুটি দিয়ে ভিত্তি গড়ে দেন। নাঈম শেখ ফিরে যান ২৮ রান করে। কিন্তু কম্বিনেশনের কারণে তিনে ব্যাট করতে নেমে শূন্য করে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়।

পরের গল্পটা মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্তর। তারা দেশের পক্ষে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ১৯৪ রানের জুটি দিয়েছেন। ওই জুটি ভাঙে মিরাজ ছক্কা মেরে হাতে ব্যথা পাওয়ায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লে। তার ব্যাট থেকে আসে ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করার পথে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা তোলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

মেহেদী মিরাজের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি উদযাপন। ছবি: এএফপি

এরপর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা নাজমুল শান্ত নামের পাশে ১০৪ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন। তার ১০৫ বলে নয়টি চার ও দুই ছক্কায় সাজানো ইনিংস থামে রান আউটে। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংস খেলে রান আউট হন। সাকিবের ব্যাট থেকে ১৮ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩২ রানের দারুণ এক ইনিংস এসেছে। এছাড়া শামীম পাটোয়ারি  ৬ বলে ১১ রান যোগ করেন।

তাদের এই ব্যাটিং ঝড়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ পেয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩৪৯। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওই সংগ্রহ তুলেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে রান ৩৩৮। ওই রানও চলতি বছর এসেছে আইরিশদের বিপক্ষে। এর আগে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৩৩। গত বিশ্বকাপে ওই রান এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

সেঞ্চুরি করা মিরাজকে অভিনন্দন জানান শান্ত। পরে তিনিও তুলে নেন সেঞ্চুরি। ছবি: এএফপি

বাংলাদেশের বড় এই রান করার পথে সুবিধা করতে পারেননি আফগান বোলাররা। পেসার ফজল হক মাত্র ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৩ রান খরচ করেন। স্পিনার মুজিব উর ১০ ওভারে ৬২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। গুলবাদিন ৮ ওভারে ৬২ রান খেয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। রশিদ খান ১০ ওভারে ৬৬ ও মোহাম্মদ নবী ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। লাহোরে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার ৩৪৮ রান তাড়া করে জিতেছিল স্বাগতিক পাকিস্তান। যা এই মাঠে রান তাড়ার রেকর্ড।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.