টাঙ্গাইল র্যাব-১৪ সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের বাসাইল থানায় ১৯৮৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলা হয়। এরপর থেকেই শফিকুল পলাতক ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতেই ১৯৮৯ সালে শফিকুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ের খবর পেয়ে শফিকুল নিজের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখেন মো. হেলাল উদ্দিন চিশতী। পরে তিনি বাবার নাম মুকছেদ আলীর পরিবর্তে মোসলেম উদ্দিন চিশতী ব্যবহার করে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। সেখানে ঠিকানাও পরিবর্তন করা হয়।
টাঙ্গাইল র্যাব-১৪–এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, শফিকুল নিজের পরিচয় গোপন করে দেশের বিভিন্ন মাজারের গানের দলে নিয়মিত অংশ নিতেন। এ কারণে মাজার এলাকাগুলোতে তিনি নিজেকে ‘আগুন পাগলা’ হিসেবে পরিচয় দিতেন। শফিকুল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় তাঁর মেয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল তাঁর পরিচয় গোপন করে ভুয়া নাম–ঠিকানা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কথা স্বীকার করেন।