চুক্তির মেয়াদ বাকি থাকলেও টটেনহামের সঙ্গে দীর্ঘ এক দশকের সম্পর্কের ইতি টানছেন সন হিউং মিন। বিদায় বলাটা কঠিন হলেও সঠিক সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান এ দক্ষিণ কোরিয়ান তারকা। মাত্র ২৩ বছর বয়সে উত্তর লন্ডনে আসা সন ক্যারিয়ারের পুরুটাই বিলিয়ে দিয়েছেন স্পার্সদের। তার নেতৃত্বেই ৪১ বছর পর ইউরোপা লিগ জিতেছিল ক্লাবটি। তাইতো এই কিংবদন্তিকে মাঠ থেকেই সম্মানের সাথে বিদায় দিতে চান টটেনহাম কোচ থমাস ফ্রাঙ্ক।
সন বলেন, আমার ক্যারিয়ারে এটা সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। অসাধারণ সব স্মৃতি এখানে। কঠিন হলেও আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময়। আশা করি সবাই আমার সিদ্ধান্তটা বুঝবেন এবং সম্মান করবেন। ২৩ বছর বয়সী এক তরুণ হিসেবে আমি উত্তর লন্ডনে এসেছিলাম। এখন পরিণত হিসেবে এই ক্লাব ছেড়ে যেতে পারাটা খুবই গর্বের বিষয়।
মাত্র আড়াই মাস আগেই ইউরোপা লিগ জিতে টটেনহামের শিরোপা খরা কেটেছিল সনেরই নেতৃত্বে। দীর্ঘ ৪১ বছর পর প্রথম কোন ইউরোপিয়ান শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে স্পারসরা।
তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান শিরোপা জয়ের পর মনে হয়েছে সম্ভাব্য যা জিততে পারতাম সবই জিতেছি। এখন আমি এই দুনিয়ার সবচেয়ে খুশি মানুষ। মাঠের ভেতরে-বাইরে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি। ইউরোপা লিগ জিতে হয়তো নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি।
সিউলের ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচ খেলবে টটেনহাম। হটস্পারের জার্সিতে এটাই হতে পারে সনের শেষ ম্যাচ। দলের কিংবদন্তিকে মাঠ থেকেই বিদায় দিতে চান কোচ থমাস ফ্রাঙ্ক। বিদায় বেলায় শিষ্যকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি।
ফ্রাঙ্ক বলেন, এটা পরিষ্কার যে সন শুরু থেকে খেলবে এবং অধিনায়কত্ব করবে। এটা যদি সনের জন্য শেষ ম্যাচ হয়, তাহলে ঘরের দর্শকদের সামনে শেষ করার জায়গাটাও দারুণ হয়। সুন্দর এক সমাপ্তি হতে পারে এটা।
উল্লেখ্য, বায়ার লেভারকুসেন থেকে ২০১৫ সালে টটেনহামে যোগ দেন ৩৩ বছর বয়সী সন। ইংল্যান্ডের ক্লাবটির হয়ে ৪৫৪ ম্যাচ খেলার পথে ইউরোপা লিগ জিতেছেন। ২০১৯ সালে উঠেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও। দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় দলের সনের অভিষেক হয় ২০১০ সালে। এখন পর্যন্ত ১৩৪ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৫১টি।