বাংলাদেশ থেকে কারা পেলেন ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড

0
200
আহনাফ আবরার হোসেন

শতাধিক সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী প্রিন্সেস ডায়ানা। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁর স্মরণে সমাজসেবায় যুক্ত তরুণদের দেওয়া হয় ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড। প্রিন্সেস ডায়ানার দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারি সরাসরি এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এ বছর ৯ জন বাংলাদেশি ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন। চলুন, তাঁদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।

 আহনাফ আবরার ও তাঁর বন্ধুরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ভরসাস্থল’ নামের একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটি বলছে, ১০টি জেলার ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে খাবার, নলকূপ, ভ্যান ও সেলাই মেশিন দিয়ে সহায়তা করেছে তারা।
আবদুল্লাহ আল হাসান: একজন সমাজকর্মী, যুব প্রশিক্ষক ও মানবাধিকার আইনজীবী। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেন তিনি। আবদুল্লাহ ‘পথচলা ফাউন্ডেশন’–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
আবদুল্লাহ আল হাসান: একজন সমাজকর্মী, যুব প্রশিক্ষক ও মানবাধিকার আইনজীবী। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেন তিনি। আবদুল্লাহ ‘পথচলা ফাউন্ডেশন’–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
এস এম মবিন সিকদার: বাংলাদেশে অনলাইন বিজ্ঞানশিক্ষা জনপ্রিয়করণে কাজ করছেন। ২০১৮ সালে তিনি ‘সায়েন্স বি’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা একটি বিজ্ঞানভিত্তিক অনলাইন এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম।
এস এম মবিন সিকদার: বাংলাদেশে অনলাইন বিজ্ঞানশিক্ষা জনপ্রিয়করণে কাজ করছেন। ২০১৮ সালে তিনি ‘সায়েন্স বি’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা একটি বিজ্ঞানভিত্তিক অনলাইন এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম।
ঋতুরাজ ভৌমিক: ‘বাপ কা বেটা’ ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের বেটা হিসেবে ঋতুরাজ ভৌমিক বেশি পরিচিত। ১০ বছর বয়সী ঋতুরাজ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত দুই হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুর হাতে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দিয়েছে সে। তাদের সাহায্যার্থে তহবিলও সংগ্রহ করেছে ঋতুরাজ।
ঋতুরাজ ভৌমিক: ‘বাপ কা বেটা’ ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের বেটা হিসেবে ঋতুরাজ ভৌমিক বেশি পরিচিত। ১০ বছর বয়সী ঋতুরাজ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত দুই হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুর হাতে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দিয়েছে সে। তাদের সাহায্যার্থে তহবিলও সংগ্রহ করেছে ঋতুরাজ।
জ্যোতির্ময়ী দাস: ওয়াইজ (উই ইন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন জ্যোতির্ময়ী। গ্রামীণ ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে তুলতে ভূমিকা রাখছেন তিনি। পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে শিক্ষাদান, স্বাস্থ্য সহায়তা ও শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশেও কাজ করেন।
জ্যোতির্ময়ী দাস: ওয়াইজ (উই ইন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন জ্যোতির্ময়ী। গ্রামীণ ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে তুলতে ভূমিকা রাখছেন তিনি। পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে শিক্ষাদান, স্বাস্থ্য সহায়তা ও শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশেও কাজ করেন।জহির রায়হান: মানবাধিকারকর্মী (অ্যাকটিভিস্ট) ও জেন্ডার অ্যাডভোকেট। এ ছাড়া ‘ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশ’র সহপ্রতিষ্ঠাতা। জেন্ডার সমতার পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করেন তিনি।
জহির রায়হান: মানবাধিকারকর্মী (অ্যাকটিভিস্ট) ও জেন্ডার অ্যাডভোকেট। এ ছাড়া ‘ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশ’র সহপ্রতিষ্ঠাতা। জেন্ডার সমতার পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করেন তিনি।
শেখ শোয়াইবুর রহমান: ‘এজিএসএস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। কৃষি খাতে ৪০ জন যুবকের একটি দলকে তিনি নেতৃত্ব দেন। তাঁর লক্ষ্য, বাংলাদেশে কৃষিকে স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও টেকসই করা।
শেখ শোয়াইবুর রহমান: ‘এজিএসএস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। কৃষি খাতে ৪০ জন যুবকের একটি দলকে তিনি নেতৃত্ব দেন। তাঁর লক্ষ্য, বাংলাদেশে কৃষিকে স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও টেকসই করা।
নিশাত সুলতানা চৌধুরী: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করে ‘এক টাকায় শিক্ষা’। নিশাত এ সংগঠনটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক। শিক্ষায় বিশেষ অবদান রেখে এ বছর ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হন তিনি। নিশাতের নাম অবশ্য এখনো ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়নি। নিশাতের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাঁর ব্যাপারে কিছু যাচাই কার্যক্রম এখনো চলছে। শিগগিরই নাম ওয়েবসাইটে দেখা যাবে।
নিশাত সুলতানা চৌধুরী: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করে ‘এক টাকায় শিক্ষা’। নিশাত এ সংগঠনটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক। শিক্ষায় বিশেষ অবদান রেখে এ বছর ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হন তিনি। নিশাতের নাম অবশ্য এখনো ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়নি। নিশাতের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাঁর ব্যাপারে কিছু যাচাই কার্যক্রম এখনো চলছে। শিগগিরই নাম ওয়েবসাইটে দেখা যাবে।এফ এম ফারহান ফাইয়াজ: পরিকল্পনা ফাউন্ডেশন নামের একটি অলাভজনক সংগঠন রয়েছে তাঁর। সংগঠনটি থেকে বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ইতিমধ্যে ‘প্রজেক্ট হাসিমুখ’ ও ‘আম্পান রিলিফ প্রজেক্ট’–এর মাধ্যমে ১৪ হাজার মার্কিন ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছেন তিনি। এমনটাই বলা হচ্ছে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইটে।
এফ এম ফারহান ফাইয়াজ: পরিকল্পনা ফাউন্ডেশন নামের একটি অলাভজনক সংগঠন রয়েছে তাঁর। সংগঠনটি থেকে বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ইতিমধ্যে ‘প্রজেক্ট হাসিমুখ’ ও ‘আম্পান রিলিফ প্রজেক্ট’–এর মাধ্যমে ১৪ হাজার মার্কিন ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছেন তিনি। এমনটাই বলা হচ্ছে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইটে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.