বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতে আটকে পড়া আরও ১৫ বাংলাদেশি জেলে দেশে ফিরেছেন। আট মাসের বেশি সময় ভারতের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের পর গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির বনগাঁ পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ১৫ জেলেই ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা।
গত বছরের ১ নভেম্বর ও ৮ নভেম্বর ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘ট্রাভেল পারমিটের’ মাধ্যমে আটকে পড়া ৬৬ জেলে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব আজাদ বলেন, প্রায় ৯ মাস আগে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশের অনেক জেলে ভারতীয় সীমানায় ভেসে গিয়েছিলেন। ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যোগাযোগের পর ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘ট্রাভেল পারমিটে’ গতকাল সন্ধ্যায় তাঁরা দেশে ফিরে আসেন। ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষে তাঁদের বেনাপোল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, গত বছরের ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়েন বাংলাদেশের অনেক জেলে। সমুদ্রে ভেসে যাওয়া জেলেদের ভারতীয় জেলে ও উপকূল রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করেন। উদ্ধার করা জেলেদের পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপের বুদ্ধপুর ও মইপিঠ এলাকার দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘ট্রাভেল পারমিটের’ মাধ্যমে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁদের দেশে ফেরত আনা হয়। ফেরত আনা জেলেদের সবাই ভোলার চরফ্যাশান উপজেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ফেরত আসা জেলেদের থানায় সোপর্দ করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে শুক্রবার রাতে নিজ নিজ এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে স্বজনদের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়েছে।