টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আসরের আগে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ একটি অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে, সেটা আগেই জানা। আইসিসি প্রস্তুতি ম্যাচের সূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের আরেকটি ম্যাচ রাখলেও বিসিবি চেয়েছিল সেটি না খেলতে। খেললেও তাদের চাওয়া ছিল ম্যাচটি যেন হয় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোনো দলের বিপক্ষে
শেষ পর্যন্ত অবশ্য আইসিসির সূচিই ঠিক থাকছে। ১ জুন ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের আগে ২৮ মে বাংলাদেশ দল তাদের প্রথম অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গতকাল আইসিসির প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
হিউস্টন থেকে মুঠোফোনে এই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার রাবীদ ইমামও। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিট)। ভারতের বিপক্ষে অন্য প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু অবশ্য চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করেনি আইসিসি। তবে ম্যাচটি নিউইয়র্কের নবনির্মিত নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
দুবাই হয়ে প্রায় ২৫ ঘণ্টার বিমানভ্রমণ শেষে স্থানীয় সময় গতকাল ভোরে টেক্সাসের হিউস্টনে পৌঁছেছে নাজমুল হোসেনের দল। পৌঁছেই পড়েছে শক্তিশালী হারিকেনের প্রভাবে হওয়া ঝড়–বৃষ্টির মধ্যে। রাবীদ ইমাম জানিয়েছেন, ভোরে বাংলাদেশ দল যখন হিউস্টন বিমানবন্দরে অবতরণ করে, মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। আকাশ মেঘলা ছিল এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও (হিউস্টনের সময় সকাল ১০টা)। সিএনএন জানিয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে হওয়া ঝড়ে হিউস্টনে অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
টিম হোটেলে গতকালের দিনটা অবশ্য ভ্রমণক্লান্তি দূর করতেই কাটার কথা বাংলাদেশ দলের। আবহাওয়া ভালো থাকলে অনুশীলন হওয়ার কথা আজ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে যে মাঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল, অনুশীলন রাখা হয়েছে সেই প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স মাঠেই। আর ডালাসের যে মাঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচটি হবে, ৮ জুন সে মাঠেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশ ছাড়াও আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি, স্কটল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা ও স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র খেলবে দুটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ। একমাত্র নামিবিয়া খেলবে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ। আরেক স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো একটি করে ম্যাচ খেলবে ভারত ও আয়ারল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে নিজেদের মধ্যে। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে না ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড।