ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গতকাল সোমবার ঝড়বৃষ্টির রাতে রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজন মারা গেছেন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. রাকিব (২৫), লিজা আক্তার (১৫) ও মরিয়ম বেগম (৪৫)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, গতকাল রাতে খিলগাঁওয়ে দুজন ও যাত্রাবাড়ীতে একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তিনজনকেই অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল রাতে খিলগাঁওয়ের তালতলায় ব্যাটারিচালিত রিকশায় চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন চালক রাকিব। তাঁকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। তাঁর বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার উত্তর চরাইল গ্রামে। বাবার নাম মো. দুলাল মিয়া।
রাত ১১টার দিকে খিলগাঁওয়ের সিপাহিবাগ এলাকার আইসক্রিম গলিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিদ্যুতায়িত হন মরিয়ম। তাঁকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন নাহিদ নামের এক ব্যক্তি। মরিয়ম সিপাহিবাগ এলাকায় থাকতেন।
কিশোরী লিজা মা-বাবার সঙ্গে যাত্রাবাড়ী থানার দরবার শরিফ-সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকত। গতকাল রাতে সে বাসার পাশের একটি টিনের প্রাচীর স্পর্শ করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর চরজব্বারে। বাবা মো. সিরাজ খান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশ তিনটি এই কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় তিনটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
গত রোববার রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর গতকালই পাওয়া যায়। তাঁদের বেশির ভাগই মারা গেছেন গাছচাপায় ও দেয়াল ভেঙে পড়ে। এখন রাজধানী ঢাকায় তিনজনের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেল।