জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল করিম তাঁর বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর ১০ মাস। বাল্যবিবাহ করায় ওই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
উচ্চবিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল করিম বিদ্যালয়েরই দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। শিক্ষক-ছাত্রীর বিয়ের বিষয়টি এক সপ্তাহ আগে জানাজানি হয়। ১৩ জুন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিনই সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়ে আবদুল করিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ‘দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর ১০ মাস। এটি বাল্যবিয়ের মধ্যে পড়ে। আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়টি উল্লেখ করেছি।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানার পর তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা নিয়েছি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আরও জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করেছেন শিক্ষক আবদুল করিম। তিনি বলেন, ‘আমার আগের স্ত্রী আছেন। সেই স্ত্রী অসুস্থ ও তাঁর সন্তান হবে না। এ কারণে পারিবারিকভাবে তিন মাস আগে বিয়ে করেছি। আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সঠিক সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব দেব।’
কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মো. মনোয়ারুল হাসান বলেন, ‘আমি শনিবারে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে আজ রোববার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’