জ্বালানি সচিব নুরুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ঢাকা সফরত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। বৈঠকে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় দাম নির্ধারণ পদ্ধতি, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি, তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধিত সম্পর্কে আইএমএফকে জানানো হয়েছে এই পদ্ধতি কার্যকর করতে আরও ৩-৪ মাস সময় লাগবে। কারণ, বাংলাদেশের অবকাঠামোতে চাইলেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি কার্যকর করা সম্ভব নয়। এ জন্য সময় দিতে হবে। দেশের প্রেক্ষিতে কোন পদ্ধতি কার্যকর হবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তাই সময় লাগছে।
আরও জানা যায়, বিপিসি একটি ফর্মুলা প্রস্তুত করে জ্বালানি বিভাগে দিয়েছে। লাভ্যাংশ, উন্নয়ন তহবিলসহ কয়েকটি খাত মিলে জ্বালানি তেলে প্রায় ১০ শতাংশ মুনাফা ধরে দাম হিসাব করেছে বিপিসি। তিন মাস অথবা এক মাস পর পর দাম নির্ধারণ কার হবে। প্রস্তাবটি জ্বালানি বিভাগ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছে। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন এই ফর্মুলা কার্যকর করলে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা বাড়বে। সামনে নির্বাচন, তাই সরকার এখন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির মতো অজনপ্রিয় কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। তাই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি কার্যকরের জন্য আরও সময় নেওয়া হচ্ছে।
এ আগে গত অক্টোবরে জ্বালানি বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল আএমএফ প্রতিনিধি দল। তখন ঋণ ছাড়ের শর্ত হিসেবে তারা- ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকেই পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রে একটি স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করার কথা বলেছিল।
জানতে চাইলে জ্বালানি সচিব নুরুল আলম বলেন, ‘আইএমএফের বিষয়টি দেখছে অর্থ বিভাগ। তারাই এ নিয়ে মন্তব্য করতে পারে। এ ছাড়া আইএমএফ কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছে, সেসব তাদের অবহিত করা হয়েছে।’