“যে কোনো চরিত্রেই চ্যালেঞ্জ থাকে। তবে গোয়েন্দা সদস্য ‘রূপা’ চরিত্রটি একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। এ কারণে এর দৃশ্য ধারণের এক বছর আগে থেকেই চরিত্রটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি। ফাইট থেকে শুরু করে গোয়েন্দা সদস্যরা কীভাবে কাজ করে, তা রপ্ত করতে হয়েছে আমাকে। চরিত্রটির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। দর্শক আমার অভিনীত চরিত্রটি পছন্দ করেছেন বলে সব কষ্ট সার্থক হয়েছে।”
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ সিনেমায় নিজের অভিনীত চরিত্র ও দর্শক প্রতিক্রিয়া নিয়ে এভাবেই বললেন মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর মুকুটধারী জেসিয়ার বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে এ সিনেমার মধ্য দিয়ে।
২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মুকুট জিতে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। ওই বছর সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিশ্বমঞ্চে তিনি লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন। ছোটবেলা থেকে মডেল হতে চেয়েছিলেন জেসিয়া; হয়েছেনও তাই। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের মডেল হিসেবে তাঁকে দেখা গেছে। পরে নাটকে অভিনয় করলেও মডেলিংয়ে নিয়মিত হন।
মডেলিং-উপস্থাপনার পাশাপাশি জেসিয়া এখন অভিনয়ে মনোযোগী হতে চাইছেন। বড় পর্দায় অভিষেকের পর অভিনয় নিয়ে তাঁর স্বপ্ন আরও ডানা মেলেছে। এরই মধ্যে নতুন একটি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন। আগামী জানুয়ারিতে এর দৃশ্য ধারণ শুরু হওয়ার কথা। সবকিছু পাকাপাকি হলে এ নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন তিনি।
জেসিয়া বলেন, ‘অভিনয় দিয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব। এ কারণে ভালো অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছি। নাটক বা সিনেমা হোক, যে কোনো মাধ্যমেই কাজ করব। এরই মধ্যে নতুন সিনেমায় কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। যে কাজই করি না কেন ঠিকঠাকভাবে করতে চাই।’
জেসিয়ার অভিনয় ও মডেলিং জগতের বাইরেও উপস্থাপক হিসেবে আমরা তাঁকে পেয়েছি। ‘ফেসকার্ড’ নামে অনলাইন শোতে গত মার্চে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। বিনোদন অঙ্গনের তারকাশিল্পীরা এতে অংশ নিয়েছিলেন। ডাঙ্গুলী এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্মের এ শোতে জেসিয়ার উপস্থাপনা প্রশংসিত হয়েছে।
এমদাদুল হক মিলটন