জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বিচারে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে প্রাণ হারায় ২ হাজারেরও বেশি। আহত হন শত শত। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তদন্তে নেমে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পায় জাতিসংঘ। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার। কিন্তু বিষয়টি কোনো অবস্থাতেই আইসিসিতে পাঠাতে চান না বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আইসিসির সহযোগিতা চান। সে ক্ষেত্রে কী ধরনের সহযোগিতা চাইবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার করার বিষয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। আমরা কোনো অবস্থাতে বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠাতে চাই না। তবে আইসিসি যদি আমাদের কোনো কারিগরি সহযোগিতা দেন সেটি অবশ্যই আমরা গ্রহণ করব।
প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এই ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার করতে সক্ষম ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশের এই বিচার করার সক্ষমতা আছে। ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে, আসামিরা বাংলাদেশেই বাস করে বা আশপাশের দেশে আছে, সাক্ষীরা এ দেশের। সুতরাং, এই বিচার বাংলাদেশের আদালতে হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। আইসিসিতে তখনই যেতে হয় যখন কোনো রাষ্ট্র বিচার করতে অক্ষম।