জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের প্রস্তাব চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে: সালাহউদ্দিন

0
7
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ রোববার সন্ধ্যায় দোয়েল হল, ফরেন সার্ভিস একাডেমি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধানসম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চতুর্থ দিনের আলোচনা শেষে এ কথা জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

জুলাই সনদ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে একটা ফাইনাল স্টেজে (চূড়ান্ত ধাপে) আমরা আছি… মোটাদাগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে মনে হয় আমরা এগোতে পেরেছি।’

গণভোটের প্রস্তাব প্রসঙ্গে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা সব রাজনৈতিক দল মিলে সমগ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করি কি না, এটা একটা প্রশ্ন। তাই জনগণের কাছে যদি সম্মতি নেওয়া যায় যে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছি, অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি—জনগণ তার পক্ষে আছে কি না, তখনই হবে জনগণের পক্ষ থেকে এই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটা চূড়ান্ত অভিমত।’

গণভোটের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, রেফারেন্ডামের (গণভোট) যে আর্টিকেল ১৪২ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার উড়িয়ে দিয়েছিল, সেটা হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে রিইনস্টেট (পুনঃপ্রতিষ্ঠিত) হয়েছে। এখন সংবিধানের আর কোথাও রেফারেন্ডাম করা যাবে না, এমন কোনো বিধান নেই। সুতরাং একটা অর্ডিন্যান্স জারি করে নির্বাচন কমিশনকে এখতিয়ার দেওয়া যেতে পারে একই দিনে সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি আলাদা ব্যালটে রেফারেন্ডাম (গণভোট) করার জন্য।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রেফারেন্ডামের (গণভোট) মাধ্যমে যে জনরায় আসবে, সেটা সার্বভৌম ক্ষমতার একটা রায়। সুতরাং সব সংসদ সদস্য সেটা মানতে বাধ্য হবেন।

এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, যদি আগামী সংসদে জুলাই সনদের বিরোধী এমপিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হন, তবে কি তাঁরা গণরায় মানতে বাধ্য থাকবেন? জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জনরায় হচ্ছে চূড়ান্ত। যখন যে পক্ষে বলবে, তখন সেই সংসদ ও সংসদ সদস্যরা সেটা মানতে বাধ্য।

বৈঠকে জুলাই সনদের বিভিন্ন ধারার ওপর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকা নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই সনদ প্রণীত হবে, স্বাক্ষরিত হবে। অঙ্গীকারনামায় সবাই সই করবেন… ওয়েবসাইটে যাবেন, সব পার্টির ইশতেহারে থাকবে। জনগণ জানবে, জুলাই সনদে কী আছে। যাঁরা ম্যান্ডেট পাবেন, তাঁরা তাঁদের নোট অব ডিসেন্ট অনুসারে যেতে পারবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.